কলকাতা টুডে ব্যুরো: রাজ্য বিধানসভার বাইরে ঘুগনি-মুড়ি-চায়ের স্টল। বিক্রেতাদের গলায় ঝুলছে প্ল্যাকার্ড। তাতে লেখা ‘আমার খোকা লুটবে বঙ্গ, করবে দেদার চুরি, তোমার খোকা বেচবে পুজোয় ঘুগনি-ঝালমুড়ি’। তবে এই স্টল চালাচ্ছেন কোন সাধারণ হকার নয় খোদ বিধায়করা। বৃহস্পতিবার শহর কলকাতায়, বিধানসভার মূল ফটকের গায়ে ফুটপাত ঘেঁষে এমনই বেনজির দৃশ্য চোখে পড়ল। ঠেলার উপর পসরা সাজিয়ে দাঁড়িয়ে BJP বিধায়কদের। থার্মোকলের বাটিতে ঘুগনি বিক্রি করতে দেখা গেল কাউকে। মশলাপাতি দিয়ে ঝালমুড়িও বানাতে দেখা গেল কাউকে কাউকে। রাজ্য বিধানসভার বাইরে এমন দৃশ্য আগে কখনও যে চোখে পড়েনি, তা নির্দ্বিধায় বলা যায়।
পুজোর আগে রাজ্যের বেকার যুবকদের চা-ঘুগনির যে পরামর্শ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় , তার বিরুদ্ধেই এমন অভিনব উপায়ে প্রতিবাদের রাস্তা বেছে নিয়েছেন বলে জানান বিজেপি বিধায়করা। তাই অগ্নিমিত্রা পাল থেকে মনোজ টিগ্গা, বিধানসভার বাইরে একজোটে ঘুগনি-মুড়ি চা বিক্রেতা হিসেবে আবির্ভূত হলেন তাঁরা।
বিধানসভার বাইরে ঘুগনি-মুড়ি-চা কিনতে খদ্দেরের ভিড় যদিও দেখা যায়নি। তবে থার্মোকলের বাটিতে ঘুগনি নিয়ে ‘ঘুগনি, ঘুগনি, ১০ টাকা, ১০ টাকা’ বলে হাঁক দিতে দেখা গেল বিজেপি বিধায়কদের একজনকে। স্টিলের কৌটোয় একে একে মশলাপাতি, মুড়ি ঢেলে ঝালমুড়ি বানালেন খোদ অগ্নিমিত্রা পাল।
যুবসমাজকে চা বিক্রির পরামর্শ দেওয়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ অগ্নিমিত্রার, তাঁর কথায়, ‘‘২০২১ সালে বলেছিলেন, দ্বিগুণ চাকরি দেবেন। তাহলে কি ঝালমুড়ি বিক্রির কথা বলেছিলেন! এই যে এত আয়োজন, বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলন, সবাই কি এমনি এমনি খেয়ে চলে গেলেন! সব লোক দেখানো!’’ এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও যুকদের পকোড়া বিক্রির কথা বলেছিলেন। ২ কোটি চাকরির কথা সোনা গিয়েছিল তাঁর মুখেও। সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরলে অগ্নিমিত্রা দাবি করেন, ২ কোটি চাকরি হয়েছে। এমনি এমনি ভারত অভ্যন্তরীণ উৎপাদনে বিশ্ব তালিকায় উঠে আসেনি।
Topics
Assembly MLAs BJP TMC Administration Kolkata