Home ভিডিও না ফেরার দেশে ‘কোকিলকণ্ঠী’ লতা , হেমা থেকে লতা হয়ে ওঠার সফর

না ফেরার দেশে ‘কোকিলকণ্ঠী’ লতা , হেমা থেকে লতা হয়ে ওঠার সফর

by Kolkata Today

কলকাতা টুডে ব্যুরো:১৯২৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর মারাঠি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন লতা। একটি পত্রিকার খবর অনুযায়ী তার বাবার নাম দীননাথ মঙ্গেশকর, যিনি একজন নাট্য অভিনেতা ও গায়ক ছিলেন। লতা মঙ্গেশকরের আগের নাম হেমা ছিল। বাবার “ভাব বন্ধন” নাটকে “লতিকার” চরিত্রে প্রভাবিত হয়ে হেমার নাম বদল করে রাখা হয় লতা। এই সেই ছোট্ট ‘হেমা’, যাঁকে আজ সারা বিশ্ব চেনে ‘লতা মঙ্গেশকর’ নামে।

 

লতা ১৯৪৪ সালে মারাঠি ছবি ‘কিটি হাসাল’ এর জন্য প্রথম গান গেয়েছিলেন। তার আগে মঞ্চে উপস্থিতি দেখা যেত লতা মঙ্গেশকরের।১৩-১৪ বছর বয়সেই প্রথম বার সিনেমায় গান গাওয়া। মরাঠি ছবিতে। মুম্বই যাওয়ার পর ১৯৪৮ সালে প্রথম হিন্দি ছবি ‘মজবুর’-এ গান। পরবর্তীতে আয়েগা আনেওয়ালা, প্যার কিয়া তো ডরনা কেয়া, আল্লা তেরো নাম, কঁহি দীপ জ্বলে – ছয় ও সাতের দশকে এসব গান জনপ্রিয়তার যে শিখর ছুঁয়েছিল, তা আজও অম্লান। লতার মৃত্য়ুতে তো একটি নয়, ভারতীয় সংস্কৃতিজগতের একাধিক যুগের অবসান ঘটল। ভারতীয় লঘুসঙ্গীতের জগতে বোধ হয় ভেঙে পড়ল গোটা গানের ঘরটিই। ১৯৭৪ সালে তিনি প্রথম ভারতীয় হিসেবে রয়্যাল অ্যালবার্ট হলে সঙ্গীত পরিবেশন করেন।

১৯৮৯ সালে ভারত সরকার তাঁকে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারে ভূষিত করে। লতা মঙ্গেশকরের  অবদানের জন্য ২০০১ সালে তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয় ভারতের সর্বোচ্চ সম্মান ভারতরত্ন, এম. এস. সুব্বুলক্ষ্মীর পর এই পদক পাওয়া তিনিই দ্বিতীয় সঙ্গীতশিল্পী।ভারতরত্ন, পদ্মবিভূষণ, পদ্মভূষণ, দাদাসাহেব ফালকে, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের মতো বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্মানে তাঁর ঝুলি ভরা রয়েছে।

ভারতের সেই নাইটেঙ্গেল এক সময় কাজ শুরু করেছিলেন মাত্র ২৫ টাকার বিনিময়। তাঁর কণ্ঠ যা দেশের অমূল্য সম্পদে পরিণত হয়, গুণীজনদের চোখে পড়তে খুব একটা সময় নেয়নি।

এক হাজারেরও বেশি ভারতীয় ছবিতে গান করেছেন। এছাড়া ভারতের ৩৬টি আঞ্চলিক ভাষাতে ও বিদেশি ভাষায় গান গাওয়ার একমাত্র রেকর্ডটি তারই।

রবিবার সকালে  ৯২ বছর বয়সে প্রয়াত সুর সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর। এদিন সকাল ৮.১২ মিনিটে হাসপাতালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি।  ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে দেশের সব চেয়ে প্রতিযোগিতাময় মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে রয়ে গেলেন প্রতিদ্বন্দ্বীহীন এক সঙ্গীতসম্রাজ্ঞী হয়ে!

চার সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন শিল্পী। সম্প্রতি অবস্থার উন্নতিও হচ্ছিল। কিন্তু শনিবার আচমকা তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। তারপরেই দিতে হয় ভেন্টিলেশনে। সেখান থেকে আর ফেরানো গেল না লতাকে। বার্ধক্য়জনিত কারণে শেষ রক্ষা হল না। মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে করোনা পজিটিভ হয়ে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন। আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু এদিন থেমে গেল সব লড়াই।

Topics

Lata Mangeshkar Singer Bollywood Celebrity Entertainment Kolkata

Related Articles