কলকাতা টুডে ব্যুরো: বিধানসভা ভোটের আগে ফের শিরোনামে সাহাগঞ্জের ডানলপ। ভারতের প্রথম টায়ার তৈরির কারখানা। এক সময়ে বিমানের টায়ারও তৈরি হত। এখন সব বন্ধ। এই কারখানা যেমন অনেক উত্থান-পতনের সাক্ষী থেকেছে, তেমনই দেখেছে অনেক রাজনীতি। এবার বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার পর্বে আলোচনায় সেই ডানলপ। কারণ, সোমবার এই কারখানা সংলগ্ন মাঠেই জনসভা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। শুধু তাই নয়, মাঝে একদিন বাদ দিয়ে আগামী বুধবার ওই মাঠেই জনসভা করতে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে ইতিমধ্যেই হলদিয়া শিল্পাঞ্চলে একটি জনসভা করেছেন মোদী। এবার হুগলি শিল্পাঞ্চল। সেটাও আবার ডানলপের মাঠে। সেখান থেকে গঙ্গা পার হলেই নৈহাটি ও ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল।
ডানলপের সাহাগঞ্জ ইউনিট শুধু হুগলি জেলা বা পশ্চিমবঙ্গ নয়, গোটা দেশের গর্ব ছিল। কিন্তু ১৯৩৬ সালে তৈরি হওয়া সেই কারখানা এখন জঙ্গলে ভরা। যদিও তার মধ্যেই চোখে পড়ে সেই ক্যাপশন– ‘দ্য ফার্স্ট টায়ার ফ্যাক্টরি অব ইন্ডিয়া’। আইনি জটিলতায় বন্ধ ডানলপ কারখানার অধিগ্রহণ আটকে গিয়েছে। রাজ্য সরকারের তরফে মাসিক একটা অনুদান দেওয়া হয় শ্রমিকদের।
রাজ্য বিজেপি মনে করছে, সোমবার নরেন্দ্র মোদী হুগলি শিল্পাঞ্চলের উন্নয়ন নিয়ে আলাদা বার্তা দিতে পারেন। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘বাম আমল থেকেই এই রাজ্যে শ্রমিকদের নিয়ে ছেলেখেলা হয়েছে। বামেদের সেই ধারা যোগ্য শিষ্যের মতো অনুসরণ করে চলেছে তৃণমূল। হুগলির সিঙ্গুরে টাটার কারখানা হতে দেয়নি। দীর্ঘদিন বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে এক সময়ের ঐতিহ্য হিন্দমোটর। ডানলপ তো আছেই। এছাড়াও রাজ্যের চটকলগুলির অবস্থা খুবই খারাপ। বামেরা চলছে না, চলবে না শিখিয়েছিল আর তৃণমূল গেটে তালা লাগিয়ে দিয়েছে।’ মোদী কি বন্ধ কারখানা খোলার প্রতিশ্রুতি দিতে পারেন? দিলীপ বলেন, ‘সেটা সম্ভব কেন্দ্র ও রাজ্যে একই সরকার হলে। তাই তো আমরা বাংলার স্বার্থে ডবল-ইঞ্জিন সরকার চাইছি।’