গ্রেফতারির পর শাহজাহানের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিলো তৃণমূল। আগামী ৬ বছরের জন্য তাকে দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ব্রাত্য বসু এবং ডেরেক ও’ব্রায়েন এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণাটি করেন
শেখ শাহজাহান উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের মৎস্য ও প্রাণী সম্পদের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি সন্দেশখালীর ১নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত, শাহজাহান সম্প্রতি একটি রেশন দুর্নীতি মামলায় জড়িয়েছিলেন যা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজর এড়াতে পারেনি । ৫ই জানুয়ারি, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের কর্মকর্তারা সন্দেশখালীর সরবেরিয়ায় তার বাড়িতে তদন্ত চালাতে গেলে, সেখানে কর্মকর্তাদের ওপর হামলাও করা হয়। সেই থেকে সন্দেশখালীর “বাদশা’ শাহজাহান শিরোনামে উঠে এসেছে । ৫৫ দিন পরে, বুধবার রাতে, শাহজাহানকে গ্রেফতার করা হয়, বৃহস্পতিবার তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেছেন, “শেখ শাহজাহানকে আগামী ৬ বছরের জন্য দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।” ব্রাত্য বসু যোগ করেছেন, “এটি প্রমাণ করে যে দলের কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তৃণমূল পদক্ষেপ নেয়। এটি তৃণমূলের জন্য নতুন নয়, কারণ আগেও একই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে ।” সূত্রের খবর ব্রাত্য বসু তখন বিজেপির সমালোচনা করে বলেন, “বিজেপি তৃণমূল নয়। শুভেন্দু অধিকারী, হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বা নারায়ণ রানেকে সাসপেন্ড করার জন্য আমরা প্রধানমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করছি। মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী ব্রিজভূষণ বা অজয় মিশ্র টেনির বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে? বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, “শুধু মুখ বাঁচাতে শেখ শাহজাহানকে সাসপেন্ড করেছে তৃণমূল। এত দিন তো দোষী মানাই হচ্ছিল না। গ্রেপ্তার বা সাসপেন্ড সবই নাটক। যেভাবে আদালতে ঢুকছিলেন তিনি, তাতে মনে হচ্ছিলো পুলিশ তাকে নয় সেই পুলিশ কে গ্রেফতার করে আদালতে নিয়ে আসছে। তার আচরণ নিয়ে ইতিমধ্যেই এক্স হ্যান্ডেলে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা অমিত মালব্য সমালোচনা করেছেন।