Home সংবাদবর্তমান ঘটনা বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের, সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কি বললেন?

বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের, সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কি বললেন?

by Web Desk

বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় । বিচারপতির পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন  বিচারপতি। কেন তিনি বিজেপি তে যোগ দিচ্ছেন এই প্রশ্ন করা হলে তার উত্তর, “বিজেপি একমাত্র সর্বভারতীয় দল এবং বিজেপি তৃণমূলের মতো দুষ্কৃতী দলের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। তাই সেখানে যোগ দিচ্ছি।‘’

এদিন সন্দেশখালি ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “তালপাতার  সেপাই বলেছে, বিচারব্যবস্থা ওর গ্রেফতারি আটকেছিল। তালপাতার সেপাই বিচারব্যবস্থা কিছু জানেন না। ওঁর পেটে বোমা মারলেও কিছু বেরোবে না। তাঁর বিরুদ্ধে আদালত কিছু ব্যবস্থা নেয়নি, ওঁর ভাগ্য ভাল।’’  পাশাপাশি সিপিএম-এ যোগ দেওয়া নিয়ে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “সিপিএমে যোগ দেব না কারণ আমি ঈশ্বর বিশ্বাসী। ধর্মে বিশ্বাস করি। তাদের সঙ্গে আমার মিল হবে না। কংগ্রেস হল পারিবারিক জমিদারির একটা দল। এখানে জয়রাম রমেশের মতো শিক্ষিত মানুষেরা থাকেন। কিন্তু তাঁরা পদ পান না। রাহুল গান্ধীর মতো নেতাদের পিছনে থেকে যেতে হয়।’’

এদিন তৃণমূলকে বিঁধলেন বিচারপতি গাঙ্গুলি

পাশাপাশি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে এদিন তৃণমূলকে বিঁধলেন বিচারপতি গাঙ্গুলি, তাঁর কথায় “তৃণমূল ভিতর ভিতর ভেঙে পড়ছে। এই দল বেশি দিন আর নেই।” তবে একই সঙ্গে তিনি জানালেন, শাসকদলের তরফে তাঁকে আক্রমণ করা হয়েছে বলেই তিনি আজ রাজনীতিতে।

উল্লেখ্য, সাংবাদিক বৈঠকের আগে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি তার পদত্যাগের কথা রাষ্ট্রপতিকে ডাকযোগে লিখিত পাঠিয়ে ইস্তফা দেন তিনি। ১০টা ৩৫মিনিটে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি পাঠানোর পাশাপাশি তিনি কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে তাঁর পদত্যাগপত্রও পাঠিয়েছেন। এর পরই তিনি প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানমের চেম্বারের দিকে রওনা হন।

সকাল ১০টার কিছু পরেই কলকাতা হাইকোর্টে আসেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।  দুপুর ২টা ৪৭ মিনিটে তিনি এজলাস ছাড়েন এবং রাত ১০টা ৫৮ মিনিটে হাইকোর্ট পৌঁছান।  বিচারক শেষবারের মতো এজলাসে বসেছেন শুনে বিভিন্ন জায়গা থেকে লোকজন ছুটে আসেন। সূত্রের খবর  কেউ কেউ শ্রদ্ধা জানাতে তার পা স্পর্শ করতে চাইছিলেন আবার কেউ ন্যায় বিচারের জন্য আশীর্বাদও চেয়েছিলেন।  বিচারপতির পদত্যাগের খবর পেয়ে আদালত চত্বরেই  কান্নাকাটি শুরু করেন অনেকে।

 

Related Articles

Leave a Comment