কলকাতা টুডে ব্যুরো: বৃহস্পতিবার ভাইফোঁটা। ভাইফোঁটা একটি বড় উৎসব। এই উৎসবকে ভাতৃদ্বিতীয়া বলে থাকেন অনেকে। কালী পুজোর দুদিন পরে কার্তিক মাসের শুক্লা দ্বিতীয়া তিথিতে প্রতিটি ঘরে ঘরে এই উৎসব পালিত হয়। একটি কাঁসা এবং পিতলের থালায় ঘি চন্দন দই এবং কাজল দেওয়া হয়। পাশে রাখা হয় ধান দূর্বা। শাঁখ বাজা উলুধ্বনি করে এই তিনটি দ্রব্য মিশিয়ে ভাইকে ফোঁটাদেন বোন দিদিরা।
<span;>জ্যজুড়ে তিথি মেনে উদযাপিত হচ্ছে ভাইফোঁটা। মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় থেকে সুজিত বসু প্রত্যেকেই ফোঁটা নিতে ব্যস্ত। পিছিয়ে নিয়ে বিজেপি, সিপিএম-ও। বৃহস্পতিবার BJP রাজ্য অফিসে মুরলিধর সেন লেনে ভাইফোঁটার আয়োজন করা হয়েছিল। উপস্থিত ছিলেন দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা।তাঁকে ফোঁটা দেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়।
<span;> শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এসে উপস্থিত হন তাঁর ছোট বোনের দক্ষিণেশ্বরের বাড়িতে। সেখানেই ক্ষমা বন্দ্যোপাধ্যায় দাদা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ম মেনে নিজের হাতে দেন ভাইফোঁটা। প্লেট ভর্তি করে দাদার পছন্দের মিষ্টি সাজিয়ে সামনে তুলে দেন তিনি। এইতো গেল আচার নিয়ম। এরপর দুপুরে রয়েছে ভুরিভোজের আয়োজন, এমনটাই জানা গেল।
<span;>এই বিশেষ দিনে সিপিআইএম নেতা বিমান বসু ভাইফোঁটা নিতে এলেন যাদবপুরের এক শ্রমজীবী ক্যান্টিনে। ছোট থেকে বড় সবাই তাকে ভাইফোঁটা দিলেন।
<span;>বোনেদের কাছ থেকে ভাইফোঁটা নেওয়ার জন্য নীল পাঞ্জাবিতে একেবারে তৈরি হয়ে উপস্থিত হন নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। প্রত্যেক বছরই এই ভাইফোঁটার দিনটিকে বেশ উপভোগ করেন ফিরহাদ । ফিরহাদ হাকিম জানান, দলের মহিলা তৃণমূল কর্মী সমর্থক বোনেদের কাছ থেকে ফোঁটা নেওয়ার পরে তিনি সোজা চলে যাবেন কালীঘাটে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতেও ফোঁটা নেওয়ার আমন্ত্রণ রয়েছে তাঁর। দুপুরের ভুরিভোজা তিনি সারবেন মমতা দিদির বাড়িতেই।
<span;>টালিগঞ্জ বাঁশদ্রোনীর ” নবনীড় বৃদ্ধাশ্রম “এ প্রতি বছরের মতো এইবারও ভাইফোঁটার আয়োজন করা হয়েছে । এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস সহ বিশিষ্ট অভিনেতা, অভিনেত্রীরা। এবং এই বৃদ্ধাদের থেকে ফোঁটা নিলেন অরূপ বিশ্বাস।