কলকাতা টুডে ব্যুরো: হকার উচ্ছেদের নয়।আইন মেনেই করতে হবে ব্যবসা। প্রয়োজনে দেওয়া হবে পুনর্বাসন । মঙ্গলবার কলকাতা পৌরসভায় প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয় বৈঠকে।
হকারদের ভবিষ্যত্ নিয়ে মঙ্গলবার জরুরী বৈঠক বসেছিল কলকাতা পুরসভা।টাউন ভেন্ডিং কমিটি, কলকাতা পুরসভা এবং কলকাতা পুলিশের উপস্থিতিতে বৈঠক হয়।প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে ,আগামী দিনে হাতিবাগান নিউমার্কেট এবং গড়িয়াহাটকে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে ধরে এগোতে হবে।
বৈঠকের শেষে টাউন ভেন্ডিং কমিটির অন্যতম সদস্য শক্তিমান ঘোষ জানিয়েছেন, আগামী ৭ই নভেম্বর থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত হাতিবাগান ,নিউমার্কেট এবং Gariahat মার্কেটকে পাইলট প্রজেক্ট মডেল ধরে ক্যারেজ ওয়েতে সার্ভে হবে। এই সার্ভেতে উপস্থিত থাকবেন কলকাতাপৌরসভা ,কলকাতা পুলিশ এবং টাউন ভেন্ডিং কমিটি।
বৈঠকের শেষে টাউন ভেন্ডিং কমিটির দাবি যে ,কোনভাবেই হকারদের উচ্ছেদ করা যাবে না । কলকাতা পুরসভা ২০১৫ সালে যে সার্ভে করেছিল তাদেরকে কোনভাবেই তুলে দেওয়া যাবে না ।যদি তাদের তুলে দেওয়া হয় তাহলে তারা আইনের পথ অবলম্বন করে আদালতে যেতে পারে পারে। তাই তাদেরকে উচ্ছেদ না করে তাদের পুনর্বাসন যাতে দেওয়া যায় এই মর্মেই টাউন ভেন্ডিং কমিটির পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল এই বৈঠকে।হকারদের কোনোভাবেই উচ্ছেদ করা যাবে না তবে ফুটপাতের এক তৃতীয়াংশ অর্থাত্ গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা, তার যে ফুটপাত সেখানে ৫০ মধ্যে কোনভাবেই হকার বসবে না।
কলকাতা পুরসভার মেয়র পরিষদের অন্যতম সদস্য Debashis Kumar জানান, যে সমস্ত হকাররা এক তৃতীয়াংশর বেশি জায়গা দখল করে বসে আছেন। সেগুলো প্রথম সার্ভে করতে হবে। যে সমস্ত হকাররা হেরিটেজের সামনে রাস্তা বা ফুটপাত দখল করে রয়েছে তাদের সেই অংশ ছেড়ে দিতে হবে। আগামী সাতই নভেম্বর থেকে সার্ভে শুরু হবে মূলত হাতিবাগান, নিউমার্কেট অঞ্চল এবং Gariahat Market এলাকায়। সার্ভে করবেন কলকাতা পুরসভা কলকাতা পুলিশ এবং টাউন ভেন্ডিং কমিটি পাশাপাশি হকার কমিটি এবং ট্রেডার্স কমিটি। সার্ভে করার পর সেই রিপোর্ট পরবর্তী যে টাউন ভেন্ডিং কমিটির যে বৈঠক বসবে সেই বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হবে।দেবাশীষ বাবু জানান, ২০১৫ সালে হকার কমিটির পক্ষ থেকে একটি তালিকা জমা দেওয়া হয়েছিল ।রবীন্দ্র সরোবরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে দেওয়া তালিকা অনুযায়ী সেই সময় ৫৮ হাজার হকার ছিল শহর কলকাতায়। সেই তালিকা ও খতিয়ে দেখা হবে।