কলকাতা টুডে ব্যুরো: শুভেন্দু অধিকারী ‘গদ্দার’। শুভেন্দু অধিকারীর উদ্দেশে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে শুরু করেন স্থানীয়রা। তাঁকে আর এলাকায় ঢুকতে দেব না। বৃহস্পতিবার এই দাবিতে নন্দীগ্রামের গোকুলনগরে শহিদ বেদির সামনে ধরনায় স্থানীয়রা। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলতে সেখানে বসে পড়েন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক Kunal Ghosh। পরে যদিও পুলিশি আবেদনে সাড়া দিয়ে ধরনা প্রত্যাহার করা হয়।
Nandigram দিবস উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামের একই জায়গায় একাধিক কর্মসূচি রয়েছে তৃণমূল ও বিজেপির। এদিন সকালে গোকুলনগরে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে সভা ছিল তৃণমূলের। তাতে নেতৃত্ব দেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। ছিলেন অখিল গিরিও। প্রথমে শহিদ বেদিতে মাল্যদান করেন কুণাল।
শহিদ স্মরণের মঞ্চে কোন নেতা থাকবেন, তা নিয়ে বিক্ষোভ-হাতাহাতিতে অনুষ্ঠানের সুর কাটে। তবে কিছুক্ষণের মধ্যে কুণাল ঘোষের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। তৃণমূলের সভা বানচাল করার চক্রান্ত চলছে বলেই অভিযোগ করেন তিনি। তৃণমূলের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করলে বিজেপির সভামঞ্চ উপড়ে ফেলে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন কুণাল।
স্থানীয়দের দাবি, শুভেন্দু অধিকারী জেলার লোকজনকে প্রতারণা করেছেন। তাই তাঁকে কিছুতেই শহিদ বেদিতে মাল্যদান করতে দেওয়া হবে না। এরপর কুণাল ঘোষ স্থানীয় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। তাই মাল্যদান করতে দেওয়া হবে। তবে শহিদ বেদিতে দেওয়া তৃণমূলের মালা সরালে চলবে না। তার উপরেই মাল্যদান করতে হবে বিজেপিকে।”
কুণাল ঘোষ জানান, “কেউ এই ধর্মের রাজনীতি সহ্য করতে পারছে না। তাই এনাদের আবেগ এবং বক্তব্য, শুভেন্দু এলেও বাইরের সভায় বক্তৃতা দিয়ে চলে যাবে। কিন্তু এই পবিত্র শহীদ বেদীতে শুভেন্দু মালা দেবে না। কারণ এতে শুভেন্দু অধিকারীর কোন কন্ট্রিবিউশন নেই। এইটা পুরোটা নন্দীগ্রামের মানুষের লড়াই। সিপিএম সন্ত্রাস করেছে আর শুভেন্দু অধিকারী সেই সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে নিয়ে এখানে ঢুকছে তার সঙ্গে কোন পুরনো বিজেপি ও নেই। তাই এলাকাবাসীদের আবেগ শুভেন্দু চারপাশে যা ইচ্ছা করুক কিন্তু শহীদ বেদীতে হাত দিতে পারবে না। যেহেতু প্রশাসন আমাদের অনুরোধ করেছেন যে একটা সময় ভাগ করা হয়েছে তাই আমি এদের অনুরোধ করবো যাতে ধরনা তুলে নেন। কিন্তু এলাকার মানুষের যা আবেগ তাই তারা ধরনা দিয়েছেন। এবং তাদেরকে আমি বিজেপি এবং পুলিশের মুখে ফেলে রেখে যেতে চাই না।”