কলকাতা টুডে ব্যুরো:সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপধ্যায় G20-র জন্য রওনা দেন দিল্লি।শেষ পর্যন্ত মোদীর ডাকা সর্বদল বৈঠকে অংশ নিলেন তৃণমূল নেত্রী। সেখানে ছিলেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক, সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিংহ তামাং, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল-সহ উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। তিনি বলেন, এটি গর্বের বিষয়ে যে ভারত জি-২০ সম্মেলন করার সুযোগ পেয়েছে। এটি দেশের সুবিধে ও উন্নতির জন্য ব্যবহার করা উচিৎ। সীমান্তে অনুপ্রবেশ নিয়ে এই সম্মেলনের মাধ্যমেই চিনকে বাধা দিতে হবে। বাম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি ও ডি রাজা বলেছেন , ভারত যে জি-২০ সম্মেলনের আয়োজন দেশ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে তার জন্য গোটা কৃতিত্ব সরকারের- এমনটা ধারনা করা ঠিক নয়। বিরোধীদেরও কৃতিত্ব রয়েছে।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, জি-২০-র সভাপতিত্ব কোনও একটি দেশের এজেন্ডা নয়। তিনি আরও বলেন, ভারতের সভাপতিত্ব জাতীয় উপলক্ষ্য , তাই বিরোধী নেতাদেরও এই বিষয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে দেওয়া উচিৎ।উনি বললেন নীতিগত বিরোধিতা থাকলেও দেশের স্বার্থে একসঙ্গে কাজ করতে আপত্তি নেই।
প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁর বক্তৃতায় বলেন, এটা কোনও সরকার বা বিজেপি-র সাফল্য নয়, দেশের প্রাপ্তি। কিন্তু যেহেতু অমৃত মহোৎসবের মধ্যে জি-২০-র সভাপতিত্ব ভারতের কাছে এসেছে, সেই সুযোগ দেশকে নিতে হবে। সমস্ত দলের সহযোগিতা প্রার্থনা করেছেন তিনি। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন গত ৮ বছরে সরকারের কাজ এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির খতিয়ান দিয়েছেন। কংগ্রেস এবং বামেদের বক্তব্য, অর্থনৈতিক মন্দা, মূল্যবৃদ্ধি, কর্মসংস্থানের মতো দেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলি নিয়ে বেশি করে মাথা ঘামাক কেন্দ্র। পরে স্ট্যালিন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘‘ভারত জি-২০-র সভাপতি হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাই। ভারতের উপরে গোটা বিশ্বের নজর রয়েছে। আশা করি এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে গোটা বিশ্বে অহিংসা, শান্তি ও সাম্যের বাণী প্রচার করবেন।’’ বৈঠকে আসেননি নীতিশ কুমার এবং কে চন্দ্রশেখর রাও।
কোনও দলের নয়। জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে বছরভরের কর্মসূচিতে যেন দলমত নির্বিশেষে দেশকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। রাষ্ট্রপতি ভবনে আজ প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে জি-২০ সংক্রান্ত বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বিরোধীদের সমস্বর ছিল এটাই।