সোমবার বাজি ফাটানোর কথা ছিল অযোধ্যায় কিন্তু সেই বাজিতেই এবার বিপদ
আর কিছু সময়ের অপেক্ষা, হতে চলেছে রামমন্দিরের উদ্বোধন। কিন্তু উদ্বোধনের আগেই রাম-রাজ্যে অগ্নিকাণ্ড! প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান উপলক্ষে আগামী সোমবার বাজি ফাটানোর কথা ছিল অযোধ্যায় কিন্তু সেই বাজিতেই এবার বিপদ।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের উন্নাওয়ে। রামমন্দিরের উৎসবের বাজি নিয়ে যাচ্ছিল একটি ট্রাক। তার মাঝেই ঘটে বিপত্তি। একের পর এক বিস্ফোরণ। কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। একের পর এক বাজি ছিটকে বেরোতে শুরু করে ট্রাক থেকে।
মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটে। বিস্ফোরণের দৃশ্য রেকর্ড করেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ইতিমধ্যেই সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে। বিভিন্ন স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাণপ্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানের জন্যই ওই বাজির বরাত করা হয়েছিল গিয়েছিল তামিলনাড়ুর বাজি কারখানায়। সেখান থেকেই ট্রাকে বাজি যাচ্ছিল অযোধ্যায়। তবে আগামী সোমবার অযোধ্যার আকাশে যে আতশবাজি জ্বলার কথা ছিল তা এক সপ্তাহ আগেই দেখে ফেলেন উন্নাওবাসী।
তিন ঘণ্টা ট্রাকটিকে জ্বলতে দেখা যায়
স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, টানা তিন ঘণ্টা ট্রাকটিকে জ্বলতে দেখা যায়। এই খবরটি পরে পুলিশের কাছে পৌঁছয়। দমকলবাহিনী এসে আগুন নেভায়। এখনও জানা যায়নি ওই ট্রাকে কী ভাবে আগুন লাগল ।
কিভাবে আগুন লাগল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তদন্ত করে দেখা হবে কী ভাবে ঘটল ঘটনাটি। এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর প্রকাশ্যে আসেনি।
সোমবার অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন এবং রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা। চলছে প্রস্তুতিপর্ব । পাশাপাশি শুরু হয়ে গিয়েছে মন্দিরে বিগ্রহ প্রতিষ্ঠার আচারবিধি পালনও। রামমন্দির উদ্বোধনের ছুটি ঘোষণা করা হল, দেশের বিভিন্ন রাজ্যে। তালিকায় উত্তরপ্রদেশের পাশাপাশি রয়েছে আরও একাধিক রাজ্যের নাম।
রামলালার মূর্তি শোভাযাত্রা করে সরযূ নদীর তীরে নিয়ে যাওয়া হবে
শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের তরফে অনুষ্ঠানের যে তালিকা দেওয়া হয়েছে সেই অনুযায়ী, মঙ্গলবার অনুষ্ঠানের প্রথম দিন ছিল প্রায়শ্চিত্ত এবং কর্ম-কোটি পুজো। বুধবার রামলালার মূর্তি শোভাযাত্রা করে সরযূ নদীর তীরে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে অভিষেকের পরে মূর্তিটি ফিরিয়ে আনা হবে মন্দিরে।
এই মুহূর্তে অযোধ্যা যাওয়ার সব রাস্তাকে গ্রিন করিডোর করা হয়েছে। গোটা জেলা জুড়ে বসানো হয়েছে মোট ১০ হাজার সিসিটিভি। AI-তে চলবে এই সিসিটিভি। অযোধ্যার মধ্যে দিয়ে বয়ে চলা সরয়ূ নদীতেও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। নদীতে থাকবেন এনডিআরএফ ও এসডিআরএফ-এর কর্মীরা।