আবগারি কেলেঙ্কারি মামলায় একাধিকবার অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট
আবগারি কেলেঙ্কারি মামলায় একাধিকবার অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তবে পাঁচবারই এই সমনকে বেআইনি বলে হাজিরা এড়িয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। উল্লেখ্য শনিবার সেই মামলাতেই দিল্লি আদালতের সামনে ভিডিও কনফারেন্সে হাজির হলেন তিনি। আস্থা ভোটের কারণকে তুলে ধরে সশরীরে উপস্থিত হননি তিনি। আর কারণ মেনেই কেজরিওয়ালকে আগামী ১৬ মার্চ পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করে আদালত।
গত বুধবার দিল্লির মদ দুর্নীতি মামলায় তাঁকে ষষ্ঠবার তলব করে ইডি। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়। তবে তার আগেই বারবার হাজিরা এড়ানোর জন্য গত সপ্তাহে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে সমন পাঠায় দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ আদালত। শনিবার তাঁকে সশরীরে হাজির হতে বলা হলেও তিনি আস্থা ভোটের কারণ দেখিয়ে এদিন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্য়মে যোগ দেন। সেখানেই এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৬ মার্চ বলে জানায় আদালত।
বিধানসভায় আস্থা ভোটের প্রস্তাব দেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল
পাঁচবার ইডির তলবে কোন সাড়া দেননি মন্ত্রী । আর তাতেই পাকাচ্ছে জট। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার দিল্লি (Delhi) বিধানসভায় আস্থা ভোটের প্রস্তাব দেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আজ এই প্রস্তাবের বিষয়ে আলোচনা হবে। কেজরির কথায়, তাঁর কাছে দুই আপ (AAP) বিধায়ক আগেই অভিযোগ জানিয়েছেন, বিজেপির তরফে টাকার প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে দলীয় প্রতিনিধিদের। পাশাপাশি জানানো হয়েছে, কেজরিওয়াল শিগগিরি গ্রেপ্তার হবেন। তাঁর কথায়, ”ওঁদের বলা হয়েছে, ২১ জন আপ বিধায়ক ইতিমধ্যেই দল ছাড়তে রাজি হয়ে গিয়েছেন। বাকিরাও বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছেন। ওঁরা বিধায়কদের ২৫ কোটি টাকার টোপ দিয়েছেন বিজেপিতে যোগ দিতে। পরে আমরা খোঁজ করে দেখেছি, ২১ নয়, ৭ জন বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বিজেপি। ওরা আবার অপারেশন লোটাস চালাতে চাইছে।”
সেই সঙ্গেই কেজরিওয়ালের তোপ, ”ওদের লক্ষ্যই সরকার ফেলে দেওয়া। কারণ ওরা জানে দিল্লিতে নির্বাচন হলে জিততে পারবে না।” এমন পরিস্থিতিতে কেজরির পেশ করা আস্থা ভোটের দিকে নজর রাজনৈতিক মহলের।