গ্রেফতার হয়েছে শেখ শাহজাহান
গ্রেফতার হয়েছে শেখ শাহজাহান এবার বসিরহাট মহকুমা আদালত থেকে সরাসরি ভবানীভবনে পাঠান হল তাকে। তদন্তভারের দায়িত্ব নিল সিআইডি। ইতিমধ্যে তারা জেরাও শুরু করে দিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
বুধবার রাতে তাকে গ্রেফতার করার পর বৃহস্পতিবার সকালে শাহজাহানকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়। ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতে পাওয়ার পর গাড়িতে চাপিয়ে সোজা কলকাতায় নিয়ে আসা হয় । বসিরহাট থেকে ঘটকপুকুর, ভোজেরহাট, সায়েন্স সিটি পেরিয়ে কলকাতা নিয়ে আসা হয় সন্দেশখালির ‘বাঘ’কে। গাড়ি থামে একদম ভবানীভবনের সামনে। সেই সময় রাস্তা কার্যত ফাঁকা করে দেওয়া হয়েছিল।
একটি গাড়িতে তোলা হয় শাহজাহানকে
আদালত থেকে বেরনোর পরই সাদা রঙের একটি গাড়িতে তোলা হয় শাহজাহানকে। ‘অশান্তি’র আশঙ্কা থেকেই তিন গাড়ির কনভয়ে চাপিয়ে তাঁকে নিয়ে বেরোয় পুলিশ। দুটি ছিল ধূসর রঙের এসইউভি ও একটি ছিল সাদা রঙের। সাদা গাড়িতেই শাহজাহান ছিলেন বলে খবর। অভিযোগ, মাঝপথেই কনভয়ে ঢোকে অন্য গাড়ি। সেই সুযোগে কার্যত সকলের চোখে ধুলো দিয়ে তিন গাড়ির কনভয় ঢোকে কলকাতায়।
আগামী ১০ দিন শাহজাহানকে ভবানীভবনে রাখা হবে বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। সেখানে সিআইডির পাশাপাশি রাজ্য পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদেরও অফিস রয়েছেন। জানা গিয়েছে, সিআইডির পাশাপাশি পুলিশ কর্তারাও জেরা করবেন সন্দেশখালির বাদশা কে।
উল্লেখ্য, উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁর বামনপুকুর এলাকা থেকে গতকাল রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে শাহজাহানকে। তার পর বৃহস্পতিবার সকালে তাঁকে সোজা নিয়ে আসা হয় বসিরহাট মহকুমা আদালতের লকআপে। সেখানেই কিছু ক্ষণ রাখা হয়েছিল শাহজাহানকে। তার পর সামান্য সময়ের জন্য তাঁকে লকআপ থেকে এজলাসে নিয়ে আসা হয়।
সেই সময় ৫৫ দিন পর প্রথম বার প্রকাশ্যে দেখা যায় সন্দেশখালির ‘বাঘ’ শাহজাহানকে। সেই সময় আদালতে উপস্থিত সাংবাদিকরা একাধিক প্রশ্ন করেন শাহজাহানকে। কিন্তু সাদা কুর্তা, পাজামা, জওহর কোট, পায়ে সাদা স্নিকার্স পরিহিত শাহজাহান একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি। শুধু আঙুল নাড়িয়ে তাঁকে কিছু ইঙ্গিত করতে দেখা যায়।