কলকাতা,২৩ জানুয়ারিঃ আমার কাছে আবেগঘন মুহূর্ত। ছোটবেলা থেকে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোসের নাম কানে আসতেই শক্তি পেতাম। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে দাঁড়িয়ে এমনটাই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, ১২৫ বছর আগে দাসত্বের অন্ধকারে চেতনার জন্ম হয়েছিল। দুনিয়ার শক্তিশালী শাসককে বলতে পেরেছিলেন, আমি তোমার কাছ থেকে স্বাধীনতা চাইব না। ছিনিয়ে নেব। আজকের দিনেই নেতাজি সুভাষের জন্ম হয়নি, আত্মগৌরবের জন্ম হয়েছিল। ১২৫তম জন্মজয়ন্তীতে তাঁকে প্রণাম করছি। বালক থেকে ত্যাগ ও তপস্যার মাধ্যমে নেতাজি হয়েছিলেন এই ভূমিকে। আমি এই পুণ্যভূমিকে প্রণাম করছি। প্রনাম করে এমন ভাবেই বক্তব্য শুরু করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
প্রধানমন্ত্রী মোদী এদিন বলেন, দেশ সর্বদা আপনার কৃতজ্ঞ থাকবে। কৃতজ্ঞ থাকবে। চিরকাল কৃতজ্ঞ থাকবে। ২০১৮ সালে আজাদ হিন্দ সরকারের ৭৫ বছর ধুমধাম করে উদযাপন করেছিল দেশ। এমনটাই বলেন নরেন্দ্র মোদী। একই সঙ্গে কলকাতায় দাঁড়িয়ে ট্রেনের নাম যে বদল করা হয়েছে সে বিষয়টিকে তুলে ধরেন তিনি। বলেন, হাওড়া-কালকা মেলের নাম করা হয়েছে নেতাজি এক্সপ্রেস।
তবে প্রত্যেক বছর নেতাজির জন্মদিনে পরাক্রম দিবস পালন করা হবে বলে এদিন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, পরাক্রম এবং প্রেরণার প্রতীক নেতাজি, এমনটাই মনে করেন তিনি। যদিও পরাক্রম মানে বুঝি না,আমরা দেশনায়ক দিবস পালন করি৷ এমনটাই মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন সকালে নেতাজি ভবনে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য কেন দেশনায়ক দিবস পালন করছেন, তার ব্যাখ্যা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, ‘পরাক্রম কোন দেশের ভাষা জানি না। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রথমবার নেতাজিকে দেশনায়ক বলেছিলেন। তাই দিনটি দেশনায়ক দিবস হিসেবে পালন করছি।’ তিনি আরও বললেন, নেতাজি একটা আবেগ। পরাক্রমের অর্থ আমি বুঝি না। তবে উনি দেশের নায়ক ছিলেন।নেতাজী এক চিন্তা, আদর্শ, দর্শন।আমরা ৩৬৫ দিন নেতাজীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখি৷ তাছাড়া মমতা প্রশ্ন তুললেন, ন্যাশনাল প্ল্যানিং কমিশন কেন তুলে দেওয়া হল? কেন বন্দরের নাম বদলে দেওয়া হল? এই প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী।