চেন্নাই, ১ মার্চ: ফের নতুন করে থাবা বসাচ্ছে করোনা ভাইরাস। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে মহারাষ্ট্র, দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ, পাঞ্জাবে। হু হু করে সংক্রমণ বেড়ে চলেছে তামিলনাড়ুতে। তবে সেই সংখ্যা মহারাষ্ট্রের চেয়ে কম। তাই আগাম সতর্ক থাকতেই সেখানে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তামিলনাড়ু সরকার।
রবিবার প্রায় ২১৪১ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। যার মধ্যে চেন্নাইতে রয়েছে ১৩৭৩ জন। প্রায় ২৬,৭৩৬ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয় এদিন। তবে মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা গত ২৪ ঘণ্টায় ৮,২৯৩। এই অবস্থা যাতে না হয়, তার জন্য তড়িঘড়ি এলাকা ভিত্তিক লকডাউন ঘোষণা করল তামিলনাড়ু সরকার।
জানা গিয়েছে, কয়েকজন কর্মচারি নিয়ে খোলা থাকবে সরকারি এবং বেসরকারি অফিস। বাকিদের বাড়ি থেকে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হবে। ১ মার্চ থেকে আগামী ১২ দিন দুপুর ২ টো পর্যন্ত খোলা থাকবে দোকানপাঠ। তবে প্রয়োজনীয় জিনিসের সরবরাহ ও প্রক্রিয়া চালু থাকবে। যার মধ্যে রয়েছে ওষুধপত্র থেকে শুরু করে খাওয়ারের জিনিস। ইতিমধ্যে সম্পূর্ণ লকডাউনের জন্য প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে চেন্নাই, চেঙ্গালপট্টু, কাঞ্চিপুরম এবং তিরুভাল্লুর। সময়সূচী অনুযায়ী বিমান এবং দূরপাল্লার ট্রেন অব্যাহত থাকলেও এই অঞ্চলে সরকারি বাস পরিবহণ বন্ধ করা হয়েছে।
এদিকে আজ থেকে দেশজুড়ে দ্বিতীয় পর্যায়ের টিকাকরণ শুরু হয়েছে। সার্বিকভাবে দেশের করোনার পরিসংখ্যান নতুন করে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। নতুন স্ট্রেনের হামলা এবং মহারাষ্ট্র-সহ একাধিক রাজ্যে লাগামহীন সংক্রমণই চিন্তা বাড়াচ্ছে। রবিবারের তুলনায় এদিন করোনা আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা সামান্য কমলেও বেশ খানিকটা বেড়েছে অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, সতর্ক না হলে দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ হানা দিতেই পারে।