কলকাতা টুডে ব্যুরো:নির্বাচনের ফল প্রকাশ হয়েছে। যারা জিতেছে অভিনন্দন। উত্তর প্রদেশের আসন কমেছে। অখিলেশ চেষ্টা করেছে। কিন্তু কেন্দ্রে বিজেপি থাকায় তাতে ছলে বলে কৌশলে জিতেছে। বিজেপির জয় প্রসঙ্গে এই মন্তব্য করলেন কুনাল ঘোষ ।তিনি বলেন,’ বাংলাতেও চেষ্টা করেছিল পারেনি। অখিলেশ হয়তো পুরটা ধরতে পারেনি হয়তো তবে চেষ্টা করেছে। পাঞ্জাবে বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। কং পারে নি। তৃণমূল সংগঠন করেনি,আপ পেয়েছে। গোয়াতে সবে পা রেখেছি। প্রাথমিক কাজ শুরু করে একটা সন্তোষজনক অবস্থা করতে পেরেছি। কংগ্রেসের উচিত আয়নায় নিজেদের মুখ দেখা। তাদের জন্য আজ বিজেপি বাড়ছে,মানুষের আস্থা অর্জনে ব্যার্থ। কং ক্ষয়িষ্ণু শক্তি। কং থেকে বেরিয়ে আসুন জোট বাঁধুন,যারা প্রতিষ্ঠিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখে জোট বাঁধুন। আজকের ফলের কোনও প্রভাব লোকসভায় পড়বে না। মানুষ বিকল্প চাইছে বাংলাই তার নেতৃত্ব দেবে। বাংলার মডেল লোকসভায় কাজ করবে। ‘
বঙ্গ বিজেপি কে আক্রমণ করে কুনাল ঘোষ বলেন ,’বাংলায় যারা বিবৃতি দিচ্ছেন বিজেপির তারা তো এখানে বারবার হারছেন। এখানকার নেতারা ব্যর্থ। ব্যর্থতা ঢাকতে অন্য রাজ্যের জয়ে দেখাচ্ছে। ‘ তৃনমুল সঙ্গীর গোয়াতে বিজেপিকে সমর্থনের প্রসঙ্গে তিনি বললেন,’গোয়াতে সবে গেছি,একটি দল জোট করতে এসেছিল,তারা যদি নিজেদের মতো সিদ্ধান্ত নেয়,তাদের বিষয়, আমরা বিজেপির বিরুদ্ধে। আমরা বিজেপিকে হারাতে চাই।’
শুভেন্দু মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তিনি বলেন,’বিরোধী দলনেতা আগে দেখুন তিনি নিজের কাঁথিতে তো নিজের বুথে হেরেছে। ত্রিপুরায় ৩০% ভোট পেয়েছে। শুভেন্দুর পার্টিকে ১৫ অপেক্ষা করতে হয়েছে ২০% ভোট পেতে। শুভেন্দুর কথার কী উত্তর দেব।’
বিজেপি অন্দরে কোন্দল নিয়ে তার মন্তব্য,’বিজেপির ঘরোয়া কোন্দল। বিজেপি কর্মীরা যদি মনে করে সুকান্ত মজুমদার সহ রাজ্য নেতৃত্ব অপদার্থ আর কী বলার আছে। ওদের দলের লোকই বলে দিচ্ছে তৃনমুলকে বলতে হবে না,আমরাই বলছি আমাদের নেতারা অপদার্থ। ওইভাবে বিচার করা যায় না,কেজরিওয়াল ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুজন দুজনকে শ্রদ্ধা করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৭বারের সাংসদ রেল মন্ত্রী ছিল। সবসময় ২ আর ২ এ ৪ হয় না,২ এর পাশে ২ বসে ২২ ও হয়।’
অধীরের মন্তব্য নিয়ে বললেন,’অধীর বাবু অবাঞ্ছিত মন্তব্য করবেন না। আপনি সিপিএমের সঙ্গে হাত মিলিয়ে শূন্য পেয়েছে। বিধানসভায় ভোট কাটতে নেবেছিল,সিপিএম কং বিজেপির দালালি করতে নেমেছিল। এই ধরনের মন্তব্য করবেন না। ‘
বিজেপির বিধানসভায় বিক্ষোভ নিয়ে বললেন,’তাদের বিষয়। কে কোথায় বিক্ষোভ দেখাবে। কিন্তু শালীনতা থাকা উচিত। ২জনকে সাসপেন্ড করা হল কী হয়েছে, আমাদের তো ৬জব সাংসদ সাসপেন্ড হয়েছিল,ফলে বিজেপির ওই সাসপেন্ড নিয়ে নাকেকান্নার কোনও মানে নেই।’
Topics
Assembly Election BJP TMC Administration Kolkata