কলকাতা টুডে ব্যুরো:১৮৯৭ সালে ১ মে স্বামী বিবেকানন্দ বাগবাজারে বলরাম বসুর বাড়িতে ১৬ জন সদস্যদের নিয়ে সভা করেন। সেখানেই রামকৃষ্ণ মিশনের বীজ বপন হয়েছিল। ৫ মে সংঘের নামকরণ হয় রামকৃষ্ণ মিশন অ্যাসোসিয়েশন। ১৯০৯ সালে আইনি স্বীকৃতি ও সিলমোহর পায় রামকৃষ্ণ মঠ। ঠাকুরের আদর্শ ও ঈশ্বর-ভাবনা সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দেওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন স্বামীজি। আজকের দিনটি তাই সামগ্রিক ভাবে ভারতের কাছে গৌরবের ও গর্বের।এখন সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছে রাম কৃষ্ণ মিশন। ২০২১ সাল পর্যন্ত বিশ্বে জুড়ে রামকৃষ্ণ মিশন এবং রামকৃষ্ণ মঠের ২২১টি সেন্টার গড়ে উঠেছে।
ঐতিহ্যের আরেক নাম রামকৃষ্ণ মিশন৷ স্বাস্থ্য পরিষেবা, শিক্ষা, ত্রাণ, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন এই প্রতিষ্ঠান অদ্বিতীয়। রামকৃষ্ণ পরমহংস, সারদা দেবী, স্বামী বিবেকানন্দের জন্ম ও প্রয়াণতিথি, বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান উদ্যাপন করে এই কেন্দ্র। বেলুড় মঠে মহাষ্টমীর কুমারীপুজো দেখতে এখানে প্রতি বছর প্রচুর জনসমাগম হয়।
জীবনপথে প্রকৃত মানুষ তৈরির লক্ষ্যে যাত্রা করেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। তিনি বলতেন,’শুধু বড় লোক হয়ো না … বড় মানুষ হও’। বেদ-বেদান্ত-উপনিষদের দেশে স্বামী বিবেকানন্দ যেন মোহনার তট। যেখানে মিলিছে আধুনিক-প্রাচীন ভারত। পরাধীন ভারতে গৈরিক বসনধারী সন্ন্যাসী ডাক দিচ্ছেন,’ওঠো,জাগো,লক্ষ্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত থেমো না।’ সেই লৌহদৃঢ় মানসিকতারই প্রতিফলন ঘটেছে তাঁর কর্মকাণ্ডে। যার অন্যতম মানুষের সেবার নিয়োজিত রামকৃষ্ণ মিশন। ১৮৯৭ সালের ১ মে উত্তর কলকাতার বাগবাজারে বলরাম বসুর বাড়িতে এই সংস্থা প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। সওয়াল করেছিলেন, সংঘ ছাড়া মহৎ কার্য সম্পন্ন হতে পারে না। সকলে তাঁর প্রস্তাব মেনে নেন। তাই এই দিনটিকেই প্রতিষ্ঠা দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়। ৫ মে রামকৃষ্ণ মিশন অ্যাসোসিয়েশন নামকরণ করা হয়েছিল। আইনি জটলিতা পেরিয়ে ১৯০৯ সালে স্বীকৃতি পায় স্বামীজির স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান।
Topics
Ramkrishna Mission Swami Vivekananda 125th Anniversary Administration Kolkata