কলকাতা টুডে ব্যুরো:দিল্লি থেকে ফিরেই দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে গিয়ে পুজো দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে লাইট অ্যান্ড সাউন্ডের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবারই দিল্লি থেকে ফিরেছেন তিনি। দুইদিনের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লির এই সকল যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ছিল।১৮ জুলাইয়ের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী শিবিরের প্রার্থী বাছাইয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গুরুত্ব ভূমিকা পালন করছেন।
এদিনের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন ,”একটা ধর্ম করি বলে অন্য ধর্মকে গালাগাল করব, এই শিক্ষা পাইনি। সবাইকেই বুঝতে হবে। একটা ধর্মের কথা বলছি না। সব ধর্মকে বলছি।”
এদিন মমতা বলেন, “দাঙ্গা করে কিছু লোভী নেতা। যাদের মাথা নোংরা ডাস্টবিনে ভর্তি। জঞ্জাল তৈরি করে আগুন লাগায়। গাড়ি পোড়ায়।” আমি নাকি নমাজ পড়ি। আমি ইফতারে যাই। আমি জৈন মন্দিরে যাই। আপত্তির কী আছে? ইচ্ছা করে। তারাপীঠে কী বিরাট ভোগ মন্দির। সব করে দিলাম। নবদ্বীপ, কোচবিহারে হেরিটেড সিটি করে দিয়েছি। বাংলা এমন জায়গা যেখানে দুটো হেরিটেজ সিটি করে দিয়েছি। ”
তিনি বলেন, “অনেক ইতিহাস তো আমাদেরও জানা নেই। ২৫-৩০ মিনিটের মধ্যে মানুষের কাছে তুলে ধরেছেন। হৃদয় বড় করতে হলে মায়ের কাছে আশ্রয় নিয়ে হয়। তা আম্মা, মাদার, মা হতে পারে। ৭১ নম্বর হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে স্নান করতে যেতেন। সব ঠিকা জমির মালিক রানি রাসমণি। ছোটবেলায় শুনেছি রানি রাসমণি বাড়ির কাছের ঘাটে স্নাস করতে আসতেন। সেই জায়গাটা বাধিয়ে দিয়েছি।”