কলকাতা টুডে ব্যুরো:আশির দশকে অটোরিকশা চালাতে গিয়ে শিবসেনায় যোগ দেন এবং দলের একজন সাধারণ কর্মী হিসেবে রাজনৈতিক যাত্রা শুরু করেন একনাথ শিন্ডে। আর আজ তিনি মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী।
একনাথ শিন্ডে ১৯৯৭ সালে থানে মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন থেকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন এবং ২০০১ সালে মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন হাউসে বিরোধী দলের নেতা হন। এরপর ২০০২ সালে আবারও দ্বিতীয়বারের মতো কর্পোরেশনের কাউন্সিলর হন। এ ছাড়া তিন বছর ক্ষমতাসীন স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। যাইহোক, তিনি দ্বিতীয়বার কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার দুই বছর পরেই বিধায়ক হয়েছিলেন, তবে শিবসেনার তাঁর রাজনৈতিক উত্থান ২০০০ সালের পরে শুরু হয়।
থানের এলাকার শিবসেনার প্রবীণ নেতা আনন্দ দিঘে ২০০০ সালে মারা যান। এর পর একনাথ শিন্ডে উত্থান শুরু হয়। এদিকে, ২০০৫ সালে নারায়ণ রানে শিবসেনা ত্যাগ করেন, তারপরে দলে একনাথ শিন্ডের মর্যাদা বাড়তে থাকে। রাজ ঠাকরে শিবসেনা ছাড়ার পর শিবসেনায় একনাথ শিন্ডের গ্রাফ বেড়ে যায় এবং ঠাকরে পরিবারের ঘনিষ্ঠও হয়ে ওঠেন। একনাথ দৃঢ়ভাবে উদ্ধব ঠাকরের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।ঘটনাচক্রে সেই শিন্ডের ‘তৎপরতাতেই’ বালাসাহেব-পুত্র ক্ষমতা হারালেন। এখন মহারাষ্ট্রের স্টিয়ারিং অটোচালক শিন্ডের হাতে।২০০৪ সালে প্রথম মহারাষ্ট্র বিধানসভা ভোটে জেতেন তিনি। তার পর ২০০৯, ২০১৪ এবং ২০১৯ সালের বিধানসভা ভোটেও জয়লাভ করেন।
আরও পড়ুন:’শুধু শুভেন্দু অধিকারী নয়,তার ভাই সৌমেন্দু সহ মুকুল-অধীরও টাকা নিয়েছিল,’ ফের বিস্ফোরক সুদীপ্ত সেন
মহারাষ্ট্র বিধানসভায় বিরোধী দলনেতার দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি। ২০১৪ সালে বিজেপি-শিবসেনা জোট সরকারের মন্ত্রী হন শিন্ডে।
একনাথ দাবি করেন, বালাসাহেবের আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়েছে শিবসেনা। হিন্দুত্ববাদ আদর্শ থেকে সরে আসছে দল।শিন্ডে হঠাৎ ‘বিদ্রোহী’ হয়ে উঠলেন। প্রথমে ঘাঁটি গাড়লেন গুজরাতের সুরতে। তার পর শিবসেনা এবং নির্দল বিধায়কদের নিয়ে চলে গেলেন আর এক বিজেপি শাসিত রাজ্য অসমে।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী পদে নাম ঘোষণার পর তিনি জানালেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী , কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে তিনি কৃতজ্ঞ।