কলকাতা, ৭ ফেব্রুয়ারি: ‘দেশের এত বড় বিপর্যয়ের দিন রাজনীতি করলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু আমরা কোনও রাজনীতি করব না।’ হলদিয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আক্রমণের জবাব এড়িয়ে বলল তৃণমূল নেতৃত্ব।
রবিবার হলদিয়ার জনসভায় নরেন্দ্র মোদী রাজ্যের শাসকদলকে তুলোধনা করে বলেন, গত ১০ বছর ধরে ‘মমতা’ নয়, ‘নির্মমতা’ পেয়েছে বাংলার মানুষ। তাঁর কথায়, অনেক আশা নিয়ে বাংলায় পরিবর্তন এনেছিলেন মানুষ। রাজনীতির জন্যই এই পরিস্থিতি, এখানে উন্নয়ন হয়নি বলে অভিযোগ তাঁর। ২০২১-এ বিজেপি ক্ষমতায় এলেই বাংলায় সঠিক অর্থে পরিবর্তন আসবে বলে দাবি করেন তিনি। প্রথম জনসভা থেকেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনলেন মোদী। এদিন তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, যথেষ্ট পরিকাঠামো থাকা সত্ত্বেও কেন বাংলা এত পিছিয়ে? কেন এই রাজ্যের যুবক, যুবতীদের কাজের সন্ধানে বাইরের রাজ্যে যেতে হচ্ছে? আমফানের ত্রাণ নিয়েও বাংলায় দুর্নীতি হয়েছে বলে এদিন সরব হন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর প্রশ্ন, আয়ুষ্মান ভারত, কিষাণনিধির মতো প্রকল্প কেন এই রাজ্যে কার্যকর করা হয়নি?
এর জবাবে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ‘সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, দেশের এতবড় বিপর্যয়ের দিনে আমরা আজ কোনও রাজনীতি করব না৷ যা উত্তর দেওয়ার সোমবার দেব৷’
রবিবার সকালে জোশীমঠের কাছে ওই তুষারধসের জেরে ধউলিগঙ্গার জলস্তর প্রবল ভাবে বেড়ে যায়। তীব্র জলোচ্ছ্বাসে একের পর এক গ্রাম ভেসে যায়। ভেঙে যায় সেতু। দুপুর পর্যন্ত ১০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনও নিখোঁজ ১৫০ জন শ্রমিক। এঁরা তপোবন জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে কাজ করছিলেন। প্রশাসনের আশঙ্কা এঁদের কেউই হয়তো বেঁচে নেই। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ভারত-তিব্বত সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ২০০ জনের উদ্ধারকারী দল। চামোলি থেকে ঋষিকেশ যাওয়ার রাস্তায় ইতিমধ্যেই জারি হয়েছে লাল সতর্কতা।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন টুইটে জানান, ‘উত্তরাখণ্ডের বিপর্যয়ে ও প্রাণহানির ঘটনা শুনে গভীরভাবে হতবাক এবং শোকাহত। আমার গভীর সমবেদনা মৃতদের পরিবারের প্রতি। যাঁরা আহত হয়েছেন তাঁদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।’