কলকাতা টুডে ব্যুরো: বাংলায় ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে। শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গ-সহ পাঁচ রাজ্যে ভোটের নির্ঘন্ট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। কমিশন জানিয়েছে, তামিলনাড়ুতে ২৩৪ আসনে একদফায় ভোট ৬ এপ্রিল। কেরলে ১৪০টি বিধানসভা কেন্দ্রে একদফায় ভোট ৬ এপ্রিল। অসমে তিন দফায় ভোট। পুদুচেরিতে ৩০টি বিধানসভা আসনে ভোট একদফায়।
এরপরই বাংলায় শাসক দল সমালোচনায় বিদ্ধ করেছে কমিশনের সিদ্ধান্তকে। এর পিছনে কেন্দ্রের হাত দেখছে তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তুলেছেন, ২৩৪ আসনবিশিষ্ট তামিলনাড়ুতে যদি একদফায় ভোট হয় তাহলে কেন মাত্র ৬০টি অতিরিক্ত আসনবিশিষ্ট পশ্চিমবঙ্গের ২৯৪ আসনে আট দফায় ভোট? এমনকি জেলাগুলিকে দু’ভাগে ভাগ করার কারণটাই বা কি? গতবার যে বাংলায় ৭ দফায় ভোট হয়েছিল সেই বাংলাতেই এবার কেন ৮ দফায় ভোট? বিজেপির চাপেই কি তবে বাংলায় এই ৮ দফায় ভোট ঘোষণা? প্রশ্ন তুলছে বাংলার শাসক দল।
এদিন বিধানসভা ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশিত হওয়ার পরেই বিকেলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলন করে তোপ দাগেন কেন্দ্রের শাসক দলকে। কেন্দ্রকে কঠোর বার্তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ধন্যবাদ জানাচ্ছি। মুবারক জানাচ্ছি। কোথাও একটা প্রশ্ন এসে যাচ্ছে। বিহারে ২৪০টি আসনে ৩টি দফায় নির্বাচন। অসমে ৩টি দফায়। তামিলনাড়ুতে ২৩৪টি আসনে একদিনে নির্বাচন। কেরলে সিপিএমের সরকার এক দফায়। বাংলায় ২৯৪টি আসন ৮ দফায় ভোট কেন? কাকে সুবিধা করে দেওয়ার জন্য? তারা রাজ্যকে সুবিচার না দিলে কোথায় যাবে জনগণ? বিজেপির অনুরোধে এটা করা হয়েছে। এমনকি গোটা জেলায় একদিনে নির্বাচন হচ্ছে না। ২৭ মার্চ নির্বাচন করছেন পুরুলিয়ায়। বাঁকুড়াটা ভাগ করেছেন। পূর্ব মেদিনীপুরের পার্ট ওয়ান। বিএ পার্ট ওয়ান শেখাচ্ছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় আমাদের জোর বেশি তাই তিন দফায় ভোট করা হচ্ছে। বাঁকুড়া পার্ট টু। এগুলি নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ বলে দিয়েছে? ৩০ দিনের খেলা খেলবেন? আমাদের যায়-আসে না। হারিয়ে ভূত করে দেব। আপনারা জেলাকে ভাঙছেন। ভাইকে ভাইকে ভাঙছেন। হিন্দু-মুসলিমকে ভাঙছেন। আপনারা বাঙালি-রাজবংশী ভাঙছেন। আপনারা টোটাল দেশটাকে ভাঙছেন।’
মমতা ফের আগ্রাসী মেজাজে বলেন, ‘সব চক্রান্ত ভেঙে দেব। বহিরাগত গুণ্ডারা বাংলা শাসন করবে না। বাংলার মানুষ বাংলা শাসন করবে। লোকসভা ভোটে কি করেছিলেন বিবেক দুবে, আমরা জানি। কেন্দ্রীয় সরকার নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করতে পারে না। ভোটে অবাধ টাকা বন্ধ করুক কমিশন। বিজেপির হাতে এজেন্সি আছে। ভোটের আগে এজেন্সির অপব্যবহার করা হচ্ছে। যত নেতাকে নিয়ে আসুন, আমরা ঘরে বাসন মাজার লোক। এত ভয়, বাংলাকে অসম্মান করা হয়েছে। নির্বাচনের পরে আমাকে সেরাকে সম্মান দেবেন।’