কলকাতা টুডে ব্যুরো:গণনা শুরু হতেই ধামাকা তৃণমূলের। সকাল থেকেই এগিয়ে ছিলেন সব্যসাচী, কৃষ্ণা, মনোরঞ্জনারা। তবে ইতিমধ্যেই ৪৬৪৪ ভোটে জয়ী হয়েছেন চলতি পুরভোটের সবচেয়ে হেভিওয়েট এবং বিতর্কিত প্রার্থী সবসাচী দত্ত । কলকাতা পুরভোটের ফলাফলের দিন মনে করিয়ে দিচ্ছে, চাপান উতোর রাজনৈতিক মহলে। বিধাননগরে পুরভোটে জয়ের পর মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাত স্বস্ত্রিক সব্যসাচী দত্তের। জয়ী প্রার্থীর স্ত্রীকে শাড়ি উপহার দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। সব্যসাচি জানান, ‘আমি আমার দিদির বাড়িতে এসেছি। মমতাদিকে সামনে রেখেই এগিয়ে চলি। যেই মেয়রের আসনে বসুন না কেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় হবেন সিইও।’
অভিষেকের সঙ্গে দেখা করে ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতেও যান। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সব্যসাচীর জবাব, “সকাল খেতে কিছু খাইনি, খিদে পেয়েছিল। তাই বৌদির কাছে খাওয়া দাওয়া করতে এসেছি।”
এদিন ফিরহাদ হাকিম বলেন এই জয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়। মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে নির্বাচিত করেছেন তিনি বলেন এ রাজ্যের তৃণমূলের বিকল্প আর কিছু নেই।
২০১৫ সালে নতুন করে তৈরি হয়েছিল বিধাননগর পুরসভা। সে বছরের অক্টোবরে তৃণমূলের হয়ে ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হন সব্যসাচী দত্ত। জয়ীর হাসি হাসেন তিনি। তবে ৪ বছর পর ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের পর ঘাসফুল শিবিরের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয় তাঁর। মেয়র পদ থেকে ইস্তফা দেন। রাজনৈতিক মহলে শিবির বদলের জল্পনাও তৈরি হয়েছিল। সেই গুঞ্জনকে সিলমোহর দিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন সব্যসাচী। অমিত শাহের হাত ধরে পদ্ম শিবিরে নাম লেখান। দলে যোগের ‘উপহার’ হিসাবে বিধানসভা ভোটের টিকিট পান। গেরুয়া শিবিরের হয়ে লড়ে পর্যুদস্ত হন। সুজিত বসুর বিরুদ্ধে ভোটে লড়ে হেরে যান।
এরপরই ফের দলবদল করেন সব্যসাচী। চলতি বছরেই তৃণমূলে ফেরেন তিনি। এরপরই বিধাননগর পুরভোটে তৃণমূলের হয়ে লড়বেন সব্যসাচী দত্ত। ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী করা হয় তাঁকে। দল যে ভুল সিদ্ধান্ত নেয়নি, তা প্রমাণও করে দিলেন সব্যসাচী। পুরনিগমের ভোটে ৪ হাজার ৬৪৪ ভোটে জয়ী হলেন তিনি।
Topics
Sabyasachi Dutta BJP TMC Administration Kolkata