কলকাতা টুডে ব্যুরো:রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে পদ্মভূষণ দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিল কেন্দ্র । তার কিছুক্ষণের মধ্যেই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, তিনি পদ্মভূষণ নেবেন না । কেন্দ্রের সম্মান প্রত্যাখান করেন তিনি ৷ তার এই প্রত্যাখ্যানের পর থেকেই বঙ্গ রাজনীতিতেও বিতরকের ঝড় উঠেছে।
আরও পড়ুনঃ ’এই সব নাটক নির্বাচনের আগে হয়,’ অখিলেশের সমর্থনে মমতার সভা নিয়ে কটাক্ষ দিলীপের
ফিরহাদ হাকিম বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের পদ্মভূষণ প্রত্যাখ্যানের সিদ্ধান্ত নিয়ে বলেন, “কেন্দ্র বাংলাকে বঞ্চনা করছে । যেভাবে বাংলাকে অপমান করছে, তাতে বাংলাকে ভারতবর্ষের মধ্যে একটা ঘৃণার বস্তু হিসাবে দাঁড় করিয়েছে । বাংলার যা দাবি-দাওয়া তা দিচ্ছে না ৷ বাংলা থেকে জবরদস্তি আমলাদের তুলে নিচ্ছে । যাঁরা অবসরপ্রাপ্ত হচ্ছেন তাঁদের প্রতি বিদ্বেষ মনোভাব পোষণ করা হচ্ছে, অত্যাচার করা হচ্ছে ৷ এই সমস্তটার নিশ্চিতভাবে প্রতিবাদ করেছেন গুণীজনরা । কেন্দ্রীয় সরকার বিদ্বেষের রাজনীতি তৈরি করেছে, বিভাজন করছে । যাঁরা বাংলাকে ভালবাসেন তাঁরা প্রত্যাখ্যান করেছেন এই পুরস্কার ।”
আরও পড়ুনঃ পদ্ম সম্মান প্রত্যাখ্যান করলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য
“বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সামাজিক ও প্রশাসনিক অবদানকে মাথায় রেখে কেন্দ্রীয় সরকার মনে করেছে এই পুরষ্কার দেওয়া উচিত। তাই দিয়েছে৷ প্রত্যাখ্যান তাঁরাই করছেন যাঁরা রাজনীতি করছেন।” বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে বিজেপি সরকার পদ্মভূষণ দেওয়া প্রসঙ্গে মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।তিনি বলেন,”এটা অনভিপ্রেত। এটা নিয়ে খামখা রাজনীতির কোনও দরকার নেই।”
এই বিষয়ে সুকান্ত বলেন, ‘প্রশাসনিক ও সামাজিক কাজের জন্য তাঁকে পদ্মভূষণ দেওয়া হচ্ছে। তাহলে মুখ্যমন্ত্রী যখন ছাদ দিয়ে জল পড়ার খোঁজ নেন, সেটাও কী সমর্থন! এটা সৌজন্য। সংবিধান মেনে বুদ্ধবাবু, সুজনবাবু কাজ করছেন তাঁদের মতাদর্শে। আমরা আমাদের মতাদর্শে করছি। তার উর্ধ্বে সরকার ও সৌজন্য।’
কেন্দ্রীয় সরকার সাম্প্রদায়িক বিভাজনের লাইন থেকে না সরায় কী প্রত্যাখ্যান? উত্তরে সুকান্ত বলেন, “এতে আমরা রাজনীতি করিনি। কিন্তু আমরাও বলতে পারি, পাকিস্তান আগে ভাগ হবে, তারপর দেশ স্বাধীন হবে বলেছিলেন কমিউনিস্টরা। তাদের দেশ বিরোধী নানা মন্তব্য আছে। আমরা ওটা এখানে আনতে চাইছি না। কেন্দ্রীয় সরকারের কর্তব্য দেশের গুণীদের স্বীকৃতি দেওয়া।”
বুধবার বেনজির ভাবে গণতন্ত্র দিবসের প্যারেডে আমন্ত্রণ পেলেন না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই ইস্যু নিয়ে শাসক বিরোধীদের অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের পালা এখনও অব্যাহত। এই প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়ে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন 15 আগস্ট এর অনুষ্ঠান আমি দেখেছিলাম বিরোধী দলনেতার আসন খালি রয়েছে ।তার পরেই এই প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান ফিরহাদ
এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘এটা দুর্ভাগ্যজনক। আমাদের সংবিধান মেনে বিরোধী অধিকার আছে। এই রাজ্যে সেটা মানা হয় না। কিন্তু গুজরাতে কংগ্রেস–বিজেপি উন্নয়নে রাজনীতি করে না। তাদের অগ্রগতি হয়। আমাদের দুর্ভাগ্য এই রাজ্যে আগে রাজনীতি। শুভেন্দুবাবু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়েছেন। যে আমাকে হারিয়েছেন, তাঁকে তো সন্মান করতে হবে। এরা শেখেনি।’
Topics
Firhad Hakim BJP TMC Administration Kolkata