পানাজি, ১২ ফেব্রুয়ারি: পয়েন্ট তালিকায় চার নম্বরে থাকা হায়দরাবাদ এফসি-কে এদিন হারালে ইস্টবেঙ্গলের প্লে-অফের স্বপ্নটা জিইয়ে থাকত। সেই লক্ষ্যে প্রায় সফল হয়ে গিয়েছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু ব্রাইটের অনবদ্য গোলে নির্ধারিত ৯০ মিনিট পর্যন্ত এগিয়ে থেকেও শেষরক্ষা হল না। প্লে-অফের আশা ফুরোল লাল হলুদের। তিলক ময়দানে হায়দরাবাদ এফসির সঙ্গে এসসি ইস্টবেঙ্গলের ম্যাচ ১-১ অমীমাংসিত থাকল।
ম্যাচের আগেরদিন ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে যেমনটা আভাস দিয়েছিলেন এদিন বাস্তবেও সেটাই করলেন টনি গ্রান্ট। চলতি আইএসএলে দ্বিতীয়বারের জন্য অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে এদিন নিজামদের বিরুদ্ধে মাঠে নামে এসসি ইস্টবেঙ্গল। শুরুতে নিজেদের গুছিয়ে নিতে কিছুটা সময় নেয় ইস্টবেঙ্গল। তবে ম্যাচের সময় যত এগোতে থাকে ধীরে-ধীরে মেলে ধরতে থাকে ইস্টবেঙ্গল। তবে প্রথমার্ধে একমাত্র ক্লিয়ার-কাট সুযোগটা এসেছিল হায়দরাবাদ এফসি’র কাছেই। লুইস সাস্ত্রের থ্রু বল ধরে গোলের খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন জোয়েল চিয়ানসে। কিন্তু নিজের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এক্ষেত্রে পুরনো দলের বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গলকে রক্ষা করেন সুব্রত পাল। বিরতির মিনিটদু’য়েক আগে পিলকিংটনের বাঁ-পায়ের দুরন্ত একটি শট নিজেকে দক্ষতার শীর্ষে নিয়ে গিয়ে রক্ষা করেন হায়দরাবাদ গোলরক্ষক লক্ষ্মীকান্ত কাট্টিমানি। হায়দরাবাদের আধিপত্য বেশি থাকলেও গোলশূন্য অবস্থাতেই বিরতিতে যায় দু’দল।
বিরতির পর লড়াই শুরু হয় সেয়ানে-সেয়ানে। ৫৯ মিনিটে প্রতি-আক্রমণ থেকে গোল করে ম্যাচে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। নিজেদের রক্ষণে হায়দরাবাদের আক্রমণ প্রতিহত করে পিলকিংটনের উদ্দেশ্যে বল বাড়ান সার্থক গোলুই। সেই বল হেডে দুরন্ত ফ্লিক করে ব্রাইটের জন্য সাজিয়ে দেন আইরিশ মিডফিল্ডার। বল ধরে বিপক্ষের দুই ডিফেন্ডারকে স্প্রিন্টে পরাস্ত করেন ব্রাইট। এরপর বিপক্ষ গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে নিশানায় স্থির থাকেন নাইজিরিয়ান। হায়দরাবাদের বিক্ষিপ্ত আক্রমণ দুর্দান্ত সামাল দিয়ে নিশ্চিত তিন পয়েন্টের দিকে ভালই এগোচ্ছিল লাল-হলুদ। কিন্তু সংযুক্তি সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে হায়দরাবাদের আক্রমণের কাছে মাথা নোয়াতে হয় লাল-হলুদ ডিফেন্সকে। পরিবর্ত রোহিত দানুর বাড়ানো বল ধরে ফ্রান সান্দাজা স্কোয়্যার পাসে তা সাজিয়ে দেন আরিদানে সান্তানার উদ্দেশ্যে। ফাঁকা গোলে বল ঠেলতে ভুল করেননি স্প্যানিশ স্ট্রাইকার। তবে আরিদানের গোলের আগে পরিবর্ত হলওয়ের পাস ধরে হায়দরাবাদ বক্সে আগুয়ান ব্রাইট আরও একবার গোলের খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন ব্রাইট। কিন্তু কাট্টিমানি তাঁকে বাধা দেওয়ায় পেনাল্টির জোরালো আবেদন ওঠে। কিন্তু সেই আবেদনে কর্ণপাত করেননি রেফারি।
এই ড্র-এর ফলে ১৭ ম্যাচ খেলে ১৭ পয়েন্ট সংগ্রহ করল ইস্টবেঙ্গল। ১৯ ফেব্রুয়ারির ডার্বির আগে পয়েন্ট নষ্ট করে ফের পিছিয়ে পড়ল লাল-হলুদ। অন্যদিকে সমসংখ্যক ম্যাচে খেলে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে প্লে-অফের আরও কাছাকাছি নিজামরা। তবে হায়দরাবাদের ড্র’য়ে এদিন খাতায়-কলমে প্লে-অফ নিশ্চিত করে ফেলল এটিকে-মোহনবাগান।