নিজস্ব প্রতিনিধিঃ তীরে এসে তরী ডুবল। এটিকে মোহনবাগানের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার স্বপ্নপূরণ হল না। সুপার সানডে’র দ্বিতীয় ম্যাচে বাম্বোলিমে এদিন সার্জিও লোবেরোর মুম্বই সিটি এফসি’কে আটকে দিতে পারলেই লিগ শিল্ড বিজয়ীর তকমা পেত কলকাতার ক্লাবটি। কিন্তু রয় কৃষ্ণা-প্রীতম কোটালরা পারলেন না। মুম্বই সিটি এফসি’র কাছে ০-২ গোলে হেরে অল্পের জন্য এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থ হল সবুজ-মেরুন। অন্যদিকে টানা দু’বার দু’টি ভিন্ন দলকে লিগ শিল্ড বিজয়ী করে মগজাস্ত্রের লড়াইয়ে নিজেকে নিজেকে সেরা প্রমাণ করলেন সার্জিও লোবেরো।
হাইভোল্টেজ ম্যাচে এদিন প্রথমার্ধেই দেওয়াল লিখনটা পরিষ্কার করে ফেলেছিল মুম্বই সিটি এফসি। লড়াই সেয়ানে-সেয়ানে হলেও বাগানকে টেক্কা দিয়ে প্রথমার্ধেই জোড়া গোল তুলে নিয়েছিল আইল্যান্ডাররা। প্রথম গোল ম্যাচের ৭ মিনিটে। আহমেদ জাহুর ভাসানো ফ্রি-কিক থেকে সুযোগ সন্ধানী হেডারে মুম্বইকে এগিয়ে দেন ডিফেন্ডার মোর্তাদা ফল। প্রথম গোলের ঘা শুকোতে না শুকোতেই বড়সড় ধাক্কা নেমে আসে হাবাসের দলে। ১৯ মিনিটে হ্যামস্ট্রিং’য়ে চোট পেয়ে মাঠে ছাড়েন রক্ষণের স্তম্ভ সন্দেশ ঝিঙ্গান। পরিবর্তে প্রবীরকে মাঠে নামান হাবাস।
প্রথমার্ধে সেই অর্থে মুম্বই রক্ষণকে বিশেষ পরীক্ষার সামনে ফেলতে পারেননি রয় কৃষ্ণা-ডেভিড উইলিয়ামসরা। অ্যাটাকিং থার্ডে সেভাবে বিপক্ষকে সুযোগ দেওয়ার পক্ষপাতী ছিল না লোবেরার ছেলেরা। মুম্বই যে সুন্দর ফুটবল খেলছিল এমনটা নয়, তবে আক্রমণবে চাপটা বজায় রেখেছিল তারা। ৩৯ মিনিটে আইল্যান্ডারদের দ্বিতীয় গোলও সেটপিস থেকে। হার্নান সান্তানার কার্লিং ফ্রি-কিক ক্রসবারে লেগে প্রতিহত হলে ফিরতি বল হেডে জালে প্রবেশ করান অরক্ষিত ওগবেচে। ২-০ এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় মুম্বই।
বিরতির পত তুলনায় আক্রমণে ঝাঁঝ বাড়ায় এটিকে-মোহনবাগান। তিরি এবং লেনি রডরিগেজকে তুলে হাবাস মাঠে নামান এদু গার্সিয়া এবং সালাম রঞ্জন সিংকে। ৬০ মিনিটে বক্সের সামান্য বাইরে থেকে নেওয়া প্রবীরের শট বার কাঁপিয়ে বাইরে না গেলে উত্তেজক চেহারা নিত ম্যাচ। এরপর উইলিয়ামসের দূরপাল্লার দুরন্ত শট রক্ষা পায় অমরিন্দরের দস্তানায়। আক্রমণে চাপ বজায় রেখে এমনই বিক্ষিপ্ত কয়েকটি প্রচেষ্টা করলেও সেই অর্থে নিশ্চিত কোনও সুযোগ আসেনি বাগানের কাছে। অন্যদিকে হাইভোল্টেজ ম্যাচে ভুল করার পক্ষপাতী ছিল না মুম্বই রক্ষণ। সবমিলিয়ে প্রথমার্ধে করা জোড়া গোলে জিতেই লিগ শিল্ড জয় নিশ্চিত করে আইল্যান্ডাররা। ২০ ম্যাচে শেষে দু’দলই ৪০ পয়েন্টে শেষ করলেও গোলপার্থক্যে এগিয়ে থেকে আগামী মরসুমে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলবে মুম্বই।