বীরভূম, ৯ ফেব্রুয়ারি: তারাপীঠে মাতৃমন্দিরে পুজো দিয়েই রথযাত্রা তথা পরিবর্তন যাত্রার শুভসূচনা করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। ট্যাবলো বের হওয়ার আগে বীরভূমের চিলার মাঠে নাড্ডার সভায় বারংবার এল মোদীর বেঁধে দেওয়া স্লোগান ‘অনেক হয়েছে মমতা, পরিবর্তন চাইছে জনতা’। এছাড়াও মমতার থেকেও বেশি আক্রমণের শানালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে লক্ষ্য করে। এমনকি তৃণমূলীদের দলত্যাগের পিছনে মমতাকেই দায়ী করলেন নাড্ডা।
দিন কয়েক আগেই কাঁথির সভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দু অধিকারীর নাম না করেই কু-কথার স্রোত বইয়ে দিয়েছিলেন। সেই প্রসঙ্গের অবতারণা করে আজ জে পি নাড্ডা বলেন, ‘শুভেন্দুর বাবাকে নিয়ে কেন কথা! ওরা যা বলল আমি তা বলতে পারব না। কুৎসিত ভাষায় শুভেন্দুর বাবাকে অপমান করা হয়েছে। বাংলাকে কলঙ্কিত করেছে ওরা।’ নাড্ডার কথায়, ‘অভিষেক বিগড়ে যাওয়া ছেলে। তাই রাজীবরা সরে গিয়েছেন।’ রাজীবের নাম নিয়েই জেপি নাড্ডা বলেন, ‘রাজীব-মুকুলদারা জানেন মা মাটি মানুষ এর সরকার মা মাটি মানুষের হয়ে থাকেনি।’ নাড্ডা মতে, ‘রাজীব-মুকুলরা দেশের জন্য সমর্পিত, সে কারণেই দলত্যাগের কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে তাঁদের।’ এছাড়াও এ দিন তাঁর ডায়মন্ডহারবার সফরের কথাও তোলেন নাড্ডা। বলেন, ‘ডায়মণ্ডহারবার, ভবানীপুর যাওয়া ভুল হয়েছিল? ভাইপোকে বলছি ওখানে আবার যাব। প্রজাতন্ত্র কী শিক্ষা দেবো।’
পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীকে এদিন শ্যমাপ্রসাদের যোগ্য উত্তরসূরীর মর্যাদা দেন নাড্ডা। তিনি বলেন, ‘ভারতের সংস্কৃতি রক্ষা করতে সারাজীবন তৎপর থেকেছেন শ্যামাপ্রসাদ। তিনিই বলেছিলেন, এক দেশে দুই সংবিধান, দুই পতাকা চলবে না। তাঁর বলিদান ব্যর্থ হয়নি। ৩৭০ ধারা রদ হয়েছে মোদীজি-শাহের নেতৃত্বে। তাঁর আক্ষেপ শ্যামাপ্রসাদের সেই বাংলা, দেশকে ভাবানোর বাংলা, আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জমানায় বিপন্ন।’
এমনকি এদিন নাড্ডা ঢালাও প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রীর। বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী খালি হাতে আসেননি। ৪৭০০ কোটি টাকা লগ্নি এনেছেন রাজ্যের জন্য। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো করিডর এসেছে বিকাশের জন্য।’