কলকাতা টুডে ব্যুরো: পুরভোট নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ব্যক্তিগত মত’ প্রকাশের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পষ্ট জানিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া আর কাউকে তিনি নেতা মানেন না। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্ব প্রমাণ হয়নি বলেই দাবি করেছেন তৃণমূলের চিফ হুইপ। এদিকে, কল্যাণের এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন দলের অন্যান্য নেতৃত্ব থেকে সাংসদরা। কুণাল ঘোষ থেকে অপরূপা পোদ্দার এমনকী কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র, কল্যাণ বিরোধিতার তালিকায় বাদ নেই কেউ। শনিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ফের স্মল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় কার্যত হুংকার দিয়েছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে।তিনি বলেছেন,”দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়, এমন কোনো মন্তব্য বরদাস্ত করবেন না তৃণমূল নেতৃত্ব। অবিলম্বে প্রকাশ্যে এই ধরনের মন্তব্য বন্ধ করতে হবে সকলকে। অন্যথায় দলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির তরফে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।
আরও পড়ুনঃপশ্চিমী ঝঞ্জার দাপটে পৌষের শেষেও মুখ ঢেকেছে শীত
এই পরিস্থিতিতে শাসক দলকে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না বিরোধীরা। গোটাটাই শাসক দলের ‘পরিকল্পিত’ বলে দাবি পদ্ম শিবিরের ।
শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “তৃণমূলের অন্তদ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। অভিষেকের মন্তব্যের বিরোধিতা পুরোটাই তৈরি করা। প্লান্টেন্ড। রাজ্যে কোভিড পরিস্থিতি এত খারাপ। মানুষের মনটা ঘোরাতে হবে তো! কোভিড থেকে মন ঘোরাতে এই পরিকল্পনা তৃণমূলের।” তাঁর আরও সংযোজন, “তৃণমূলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শেষ কথা। কোভিড পরিস্থিতিতে রাজ্যের কী অবস্থা সেই দিক থেকে মানুষের মন ঘুরিয়ে দিতে কুশপুতুল পোড়ানো হচ্ছে।”
আরও পড়ুনঃ বিক্ষুব্ধ’দের নিয়ে বৈঠক করলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর
এদিকে অভিষেকের বিরুদ্ধে মন্তব্য করায় কল্যাণের বিপক্ষে সওয়াল করেছেন দলেরই একাংশ। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে কার্যত সরগরম রাজ্য রাজনীতি।
Topics
Samik Bhattcharya BJP TMC Administration Kolkata