কলকাতা, ২১ ফেব্রুয়ারিঃ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সিবিআই নোটিশ পাঠানো আসলে বিজেপির রাজনৈতিক চক্রান্ত। এমনই মন্তব্য করলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। রবিবার দুপুরে সিবিআই আধিকারিকরা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে গিয়ে সিআরপিসি আন্ডার সেকশন ১৬০ ধারায় নোটিশ দেয়।
এই ঘটনাকে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক চক্রান্ত বলে কুণাল ঘোষ মন্তব্য করে বলেন, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে কোনও রকম প্রমাণ ছাড়াই তাঁকে অভিযুক্ত করা হচ্ছে। আসলে অমিত শাহকে অভিষেকের অভিযোগের ভিত্তিতে আগামীকাল আদালতে হাজির হওয়ার সমন দেওয়া হয়েছে। তাই অভিষেকের স্ত্রীর নামে সিবিআই নোটিশ পাঠানো হল। অভিষেক আইনীভাবে মাথা উঁচু করে এই লড়াইয়ে জয়ী হবেন।’ প্রসঙ্গত কয়লাকাণ্ডে এর আগেই বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীকে ধরা হয়েছে। এই ব্যবসায়ীদের জেরা করে সিবিআই এমন কিছু তথ্য পেয়েছে যার ভিত্তিতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীকে সাক্ষী হিসাবে সিবিআই জেরা করতে চাইছে। এর আগেই তৃণমূল নেতা বিনয় মিশ্রকে নোটিশ করেছে সিবিআই। তিনি এখন পলাতক। সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে কয়লা পাচারকাণ্ডে যাদের এ পর্যন্ত সিবিআই নিজেদের হেফাজতে নিয়েছেন, তাদের কাছে যে তথ্য পাওয়া গেছে তার ভিত্তিতেই রুজিরাকে জেরা করতে চাইছে সিবিআই।
এদিকে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর বারুইপুরের বিজেপির সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী বক্তব্য রাখার সময় একটি চেকের রেপ্লিকা তুলে দেখান। তারপর শুভেন্দু বলেন, ‘ম্যাডাম নারুলা কে? এই দেখুন এখানে প্রমাণ আছে কে তোলাবাজির টাকা ব্যাংককে পাঠান। এই ম্যাডাম নারুলা হলেন তিনি, যিনি গত লোকসভা নির্বাচনের আগে বিমানবন্দরে সোনা সহ ধরা পড়েছিলেন। এবার নিশ্চয় বুঝতে পারছেন এই ম্যাডাম নারুলা কে।’ তবে এর উত্তর কাঁথির সভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দিয়ে বলেছিলেন, ‘একজন ভাষণ দিতে উঠে সারাদিন শুধু অভিষেক অভিষেক করছেন। আমার সঙ্গে না পেরে এখন আমার স্ত্রীকে আক্রমণ করছে।’ তবে এই প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘জানাই ছিল, রাজনৈতিক ভাবে না পেরে বিজেপি এসব করবে। আসলে বিজেপির তো কারও সঙ্গে সুসম্পর্ক নেই শুধু সিবিআই আর ইডির সঙ্গেই সুসম্পর্ক আছে। তাই এটা করছে।’
এদিকে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী এই প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘ভোটের আগে এসব হচ্ছে কিন্তু তদন্ত যেন শ্লথ হয়ে না যায়।’ বিজেপি নেতা ও রাজ্য বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘সিবিআই তদন্ত করতে চাইলেই বলা হয় এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য করা হয়। আবার তদন্ত গতি হারা হলে বলা হয় মোদী-মমতা গটআপ। আমি চাই আইন আইনের পথে চলুক।’