সিডনি, ১১ জানুয়ারি: কেপটাউনের বল বিকৃতিকাণ্ডের স্মৃতি এখনও টাটকা। ক্রিকেট মাঠে বাইশ গজে ফের এক বিতর্কিত কাজ করে কাঠগড়ায় স্টিভ স্মিথ। মাথা নিচু করে দেওয়ার মতোই কাজ করেছেন অজি তারকা। তিন বছর যেতে না যেতেই কি ওই ঘটনা ভুলতে বসেছেন স্মিথ? নাহলে সোমবার সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে এই কাণ্ড কীভাবে ঘটালেন তারকা অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যান? ঋষভ পন্ত তখন উইকেটে। ভারতের উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান ব্যাটে আগুন ঝরাচ্ছিলেন তখন। অস্ট্রেলীয় বোলারদের হতাশ করে একটু সময়ের জন্য হলেও দলকে অসম্ভব এক জয়ের স্বপ্নও দেখাচ্ছিলেন পন্ত।
পন্তকে ফেরাতে মরিয়া অস্ট্রেলীয়রা তখন কত চেষ্টাই না করছিল। স্টিভ স্মিথও বসে থাকেননি। তবে একটু বাঁকা পথই নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক। কী করেছেন স্মিথ? সেটি ধরা পড়েছে স্টাম্প ক্যামেরায়। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ড্রিংকস ব্রেকের সময় স্টাম্পের সামনে এসে পন্তের ব্যাটিং গার্ড জুতো দিয়ে ঘষে সমান করে দিচ্ছেন স্মিথ। ‘গার্ড কই’, বিরতি শেষে ক্রিজে এসে পন্ত তো অবাক। শেষ পর্যন্ত আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলে নতুন করে গার্ড এঁকে নেন পন্ত।
পন্তের ব্যাটিং গার্ড মুছছেন স্টিভ স্মিথ। এই ভিডিও ফুটেজে অবশ্য স্মিথের মুখ দেখা যায়নি। তবে কাণ্ডটা যে সময়ের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানেরই, তা বুঝতে এতটুকু সমস্যা হয়নি কারোর। স্মিথের জার্সি নম্বর ‘৪৯’ যে স্পষ্টই দেখা গেছে। ভিডিওটা ভাইরাল হওয়ার পর বেশ সমালোচনা চলছে স্মিথের। প্রাক্তন ক্রিকেটাররা রীতিমতো ধুয়ে দিচ্ছেন তাঁকে।নজফগড়ের নবাব বীরেন্দ্র সেওয়াগ ওই ফুটেজ টুইট করেছেন। সেখানে সেওবাগ লিখেছেন, ‘কত চালই না চালা হয়েছে, স্টিভ স্মিথ তো পন্তের ব্যাটিং গার্ডের দাগও ক্রিজ থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করল।’ সেওয়াগের এই টুইটের পর কিছু সময়ের জন্য ‘ওয়ানস আ চিট অলওয়েজ আ চিট’ বা ‘যে প্রতারক সে সব সময় প্রতারক’ ট্রেন্ডিং হয়ে যায় টুইটারে। বল বিকৃতিকাণ্ডের ঘটনা মনে করিয়ে দিয়ে স্মিথের সমালোচনায় মাতেন অনেকেই।
ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার ডেভিড লয়েড টুইটারে লিখেছেন, ‘বোকার মতো আচরণ করেছেন স্মিথ।’ ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক মাইকেল ভন লিখেছেন, ‘খুব খুব খারাপ কাজ স্টিভ স্মিথের।’ এই ঘটনায় স্মিথ শাস্তি পাবেন কিনা জানা নেই। ক্রিকেট আইনের একটি ধারায় অবশ্য উল্লেখ আছে, যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া পিচে কোনও ফিল্ডারের উপস্থিতি অবৈধ।