নিজস্ব প্রতিনিধিঃ দিঘা-শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের সভাপতির পদ থেকে বরখাস্ত করার পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সভাপতির পদ থেকেও শিশির অধিকারীকে সরিয়ে দিল রাজ্যের তৃণমূল সরকার। তাঁর জায়গায় আনা হল রাজ্যের মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রকে। বদলে তৃণমূলের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার চেয়ারম্যান পদে আনা হল শিশির অধিকারীকে।
রাজ্যের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই নানা কানাঘুষো শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এবিষয়ে অখিল গিরি বলেন, “শিশিরবাবু কোনওদিন কোনও কাজ করেননি। সেই কারণেই সম্ভবত এই সিদ্ধান্ত।” এ ব্যাপারে রীতিমতো হুঙ্কার দিয়েছেন শিশির-পুত্র বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলে বিজেপি–র এক মিছিল চলাকালীন এদিন শুভেন্দু বলেছেন, ‘যাঁরা তাঁকে সরিয়ে দিয়েছেন মে মাসে তাঁদেরই পশ্চিমবঙ্গ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে।’
তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ শিশির অধিকারী ১৯৯৮ সালে তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিতি। তাঁর মেজো ছেলে শুভেন্দু তৃণমূল ছাড়ার আগে পর্যন্ত নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের আসনের প্রতিনিধি ছিলেন। ১৯ ডিসেম্বর ৬ জন বিধায়ক ও বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল মণ্ডল-সহ শাসকদলের ডজনখানেক নেতাকে নিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারী।
কয়েকদিন আগে কেন্দ্রের শাসকদলে যোগ দিয়ে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছিলেন, যে তাঁর ঘরেতেও পদ্ম ফুটবে। আর ঠিক তার পরের দিনই বিজেপিতে যোগ দেন তাঁর ভাই সৌমেন্দু। এবার কি শিশির অধিকারীও যোগ দেবেন বিজেপি শিবিরে? তা নিয়ে জোর জল্পনা রাজনৈতিক মহলে।