নিজস্ব প্রতিনিধিঃ করোনার আবহে এবার গঙ্গাসাগর মেলা। অন্য বছরগুলিতে ইতিমধ্যেই লক্ষ-লক্ষ পুণ্যার্থীর সমাগম হতো সাগরমেলা চত্বরে। বাবুঘাটের শিবিরগুলিতে সাধু-সন্ন্যাসীদের উপচে পড়া ভিড় আজ নেই। ইতিমধ্যেই ভিন-রাজ্য থেকে যাঁরা এসেছেন অনেকেই পৌঁছেছেন গন্তব্যে। তবে অন্যবারের তুলনায় এবার পুণ্যার্থী নেই বললেই চলে।
এবার অনলাইনে দেখানো হবে গঙ্গাসাগর মেলা। হাইকোর্টের পরামর্শ মতো থাকবে ই-স্নানের ব্যবস্থাও। আদালতের পরামর্শ মতো করোনাকালে ভিড় এড়াতে সাগর মেলা অনলাইনে দেখার ব্যবস্থা করছে রাজ্য সরকার। দেশের যে কোনও প্রান্ত থেকে অনলাইনে অর্ডার করা যাবে গঙ্গাসাগরের জল। গঙ্গাসাগারের পবিত্র জল ও প্রসাদ বাড়ি বসেই পেয়ে যাবেন পুণ্যার্থীরা।
বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ১৪ জানুয়ারি থেকে এই বছর গঙ্গাসাগর মেলা শুরু। ইতিমধ্যেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন বহু পুণ্যার্থী। অতিমারীর পরিস্থিতিতে বিশাল জমায়েত নিয়ে চিন্তায় প্রশাসন। করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রুখতে তাই এবার ব্যাপক তৎপরতা নেওয়া হয়েছে। পুণ্যার্থীদের জন্য একগুচ্ছ বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। সব পুণ্যার্থীদের মাস্ক পরা ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করার আর্জি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রতি বছরের মতো গঙ্গাসাগর মেলা উপলক্ষে মেলা-প্রাঙ্গণে নিরাপত্তা ব্যবস্থা দৃঢ় করা হয়েছে। গঙ্গাসাগর মেলার বিভিন্ন প্রান্তে ব্যারিকেড বসানো হয়েছে। সিসিটিভি ক্যামেরা, ড্রোনে সাগরমেলা প্রাঙ্গণে নজরদারি চালানো হচ্ছে৷ গঙ্গাসাগর মেলায় ঢোকার পথগুলিতে মেডিক্যাল স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে৷ এছাড়াও মেলা চত্বরে করোনা আক্রান্তদের জন্য হাসপাতালের ব্যবস্থা রাখার পাশাপাশি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের ব্যবস্থাও থাকছে।