নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বেশ কিছুদিন ধরেই ক্লাবের বিনিয়োগকারী ইস্যুতে ডামাডোল চলছিল। ক্লাবের নব্য ও পুরোনো কর্তাদের মধ্যে দূরত্ব বাড়ছিল। তরুণ ক্লাব সচিবের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত মানতে পারছিলেন না সিনিয়র তথা পুরোনো কর্তারা। শেষ পর্যন্ত জল্পনাই সত্যি হল। দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হল মহমেডান সচিব ওয়াসিম আক্রমকে। শনিবার ক্লাব তাঁবুতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়। পদত্যাগ করেছেন সভাপতি আমিরুদ্দিন ববিও। ক্লাব পরিচালনার কাজে খুব বেশি সময় দিতে না পারায় পদত্যাগ করেন তিনি। তাঁর জায়গায় সভাপতি হলেন গুলাম আশরাফ। সহ-সভাপতি হয়েছেন সামস ইকবাল ও মহম্মদ কামারুদ্দিন। আর সচিব পদে ওয়াসিম আক্রমকে সরিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সচিব করা হল দানিশ ইকবালকে।
বিদায়ী সচিবের বিরুদ্ধে অভিযোগ, দল গঠনের ক্ষেত্রে নিজেই সিদ্ধান্ত নিতেন ওয়াসিম। ক্লাব আই লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিল। আরও ভাল দল গড়ার সুযোগ থাকলেও তা করতে পারেননি ওয়াসিম। ফুটবল সচিব দীপেন্দু বিশ্বাসেরও কোনও মতামত নিতেন না। দলগঠনের ক্ষেত্রে ক্লাবের ফুটবল সাব-কমিটিকেও গুরুত্ব দিতেন না। দুই বিদেশি ফাতাউ ও রাফায়েল দলকে সার্ভিসই দিতে পারেননি। আনফিট, চোটগ্রস্ত দুই ফুটবলারকে লিগের শুরুতেই ছাঁটাই করতে হয়েছে। আই লিগে ছন্দ খুঁজে পাচ্ছে না দল। ৫ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে ছয় নম্বরে আছে সাদা কালো ব্রিগেড।
ক্লাবের একটি সূত্র মারফত কলকাতা টুডের কাছে খবর, ১ কোটি ২৭ লক্ষ টাকার কোনও হিসেব দিতে পারেননি ওয়াসিম, যার মধ্যে বিনিয়গকারী সংস্থার টাকাও রয়েছে। আই লিগের দ্বিতীয় ডিভিশনের সময় ক্লাবের প্রাপ্য ৩৫ লক্ষ টাকারও কোনও হিসাব বিদায়ী সচিব দেখাতে পারেননি বলে অভিযোগ। শুক্রবার ক্লাবের কার্যকরী কমিটির সদস্যরা বৈঠকে বসেছিলেন। সেই বৈঠকে ৩২ জনের মধ্যে ৩১ জন কার্যকরী সমিতির সদস্য থাকলেও অনুপস্থিত ছিলেন ওয়াসিম। জানুয়ারি মাসের ৫ তারিখে ওয়াসিমকে চিঠি দিয়ে হিসেব চাওয়া হলেও এক মাস অতিক্রান্ত। ওয়াসিম হিসেব দিতে গড়িমসি করছেন। হিসেব দিতে না পারলে তদন্ত কমিটি গড়তে পারে ক্লাব।
ক্লাবের অভিযোগকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না ওয়াসিম আক্রম। বলে দিলেন, ‘আমি মহমেডান ক্লাবের স্বার্থে ইনভেস্টর আনতে চেয়েছি। জানি না ওরা বাংকারহিলের সঙ্গে চুক্তি সই করবে কিনা। এখন আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করে, আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে ওরা কী করতে চাইছে আমি জানি না। ক্লাবের এক কর্তা বলছে আমার বিরুদ্ধে এফআইআর করবে। তা আমি বলছি করুন, এফআইআর করুন, আদালতে যান, আমি দেখে নেব।’