নিজস্ব প্রতিনিধিঃ অসন্তোষের আগুন ধিকিধিকি জ্বলছিল। এবার তা দাবানলের আকার নিতে চলেছে। ইস্টবেঙ্গলের বিনিয়োগকারী সংস্থা শ্রী সিমেন্ট ও ক্লাবের কর্তাদের মধ্যে চুক্তি সই নিয়ে টানাপোড়েন এখনও চলছে। টার্ম শিটে সইয়ের চার মাস পরেও মূল চুক্তিপত্রে সই করতে গড়িমসি চালিয়ে যাচ্ছেন ইস্টবেঙ্গলের পুরনো কর্তারা।
বীতশ্রদ্ধ শ্রী সিমেন্ট কর্তারা এবার নিতু সরকারদের চরমপত্র দিল। ক্লাবে চিঠি পাঠিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এক সপ্তাহের মধ্যে চুক্তিপত্রে সই না করলে আগামী মরসুমে শ্রী সিমেন্টের তরফে কোনও বিনিয়োগ করা হবে না। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা হবে। আগামী মরসুমের জন্য কোচ রবি ফাওলার-সহ দেশি-বিদেশি ফুটবলারদের সঙ্গে চুক্তি পুনর্নবীকরণও আপাতত আটকে রেখেছেন ইনভেস্টর কর্তারা।
ক্লাবের তরফে অবশ্য ইনভেস্টর সংস্থার চিঠির প্রাপ্তিস্বীকার করা হয়নি। বলা হয়েছে, ‘কোনও চিঠি ক্লাবে আসেনি। যদি চিঠি আসে তাহলে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ কিন্তু কেন চুক্তিপত্রে সই করছে না ক্লাব? কবে সই করা হবে? আদৌ কি সই করবেন নিতু সরকাররা? আসলে ক্লাবের সমস্ত স্পোর্টিং রাইটস নেওয়ার পাশাপাশি ক্লাব সদস্যদের অধিকারের ব্যাপারেও শেষ কথা বলতে চায় বিনিয়োগকারী সংস্থা। এখানেই আপত্তি ক্লাবের। তাই ইনভেস্টরের সমস্ত শর্ত মেনে মূল চুক্তিপত্রে এখনও সই না-করে তা ঝুলিয়ে রেখেছে ক্লাব। ক্লাবের আর এক কর্তা বললেন, ‘কোনও গড়িমসি হচ্ছে না। খুব তাড়াতাড়ি সই করে আমরা চুক্তিপত্র পাঠিয়ে দেব কোম্পানির কাছে।’ কিন্তু এদিন ইনভেস্টরের তরফে এক সপ্তাহ সময় দেওয়া চরমপত্রের পর জল কোন দিকে গড়ায় সেটাই দেখার! ক্লাবের
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইনভেস্টর কর্তা কলকাতা টুডেকে বললেন, ‘ক্লাব কর্তারা যে অন্যায় কাজটা করছে সেটা আমরা আর সহ্য করব না। অনেক হয়েছে। আমরা কয়েকটা দিন সময় দিয়েছি। তার মধ্যে চুক্তি সই করে না পাঠালে আমরা সরে যাব। দিনের পর দিন মৌখিক চুক্তির ভিত্তিতে তো অর্থ বিনিয়োগ করা যায় না! আমরা পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করতে চেয়েছিলাম। সেটাই ওরা চাইছে না। তাহলে আমাদের চলে যাওয়া ছাড়া উপায় নেইম।’