Home রাজনৈতিক ‘জয় শ্রীরাম’ নয়, ফুটবলের ভাষায় মমতাকে ‘রামকার্ড’ দেখানোর বার্তা দিয়ে গেলেন মোদী

‘জয় শ্রীরাম’ নয়, ফুটবলের ভাষায় মমতাকে ‘রামকার্ড’ দেখানোর বার্তা দিয়ে গেলেন মোদী

by Kolkata Today

হলদিয়া, ৭ ফেব্রুয়ারি: ‘জয় শ্রীরাম’ ইস্যুতে মোদী বনাম মমতা, বিজেপি বনাম তৃণমূল লড়াইয়ের আঁচ পাওয়া গেল হলদিয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজনৈতিক জনসভায়। এদিন একবারও ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি উচ্চারণ করলেন না হলদিয়ার সভায়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘রামকার্ড’ দেখানোর কথা বলে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের ‘জয় শ্রীরাম’ বিতর্ককে যেন নতুন করে উস্কে দিয়ে গেলেন নরেন্দ্র মোদী।

সপ্তাহ দুয়েক আগেই নেতাজির জন্মদিনে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে কেন্দ্রীয় সরকারের অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে গিয়ে ‘জয় শ্রীরাম’ শুনতে হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বক্তৃতা না দিয়ে মঞ্চ ছাড়েন মুখ্যমন্ত্রী। তা নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। সেদিনের সরকারি অনুষ্ঠানে এটা নিয়ে সম্পর্কে কোনও কথা বলেননি একটা শব্দ উচ্চারণ করেননি প্রধানমন্ত্রী মোদী। কারণ, ওটা সরকারি অনুষ্ঠান ছিল। নরেন্দ্র মোদী দু’সপ্তাহ পর ফের বাংলায় এলেন রবিবার। হলদিয়ায় রাজনৈতিক সভাতে সেই প্রসঙ্গ না তুলেও অনেক কিছু বলে গেলেন। মোদী বলে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘রামকার্ড’ দেখানোর কথা। বললেন, ‘বাংলার মানুষের ফুটবলপ্রেম সর্বজনবিদিত। আমি তাই ফুটবলের ভাষায় বলছি, তৃণমূল একটার পর একটা ফাউল করে চলেছে। অপশাসনের ফাউল, দুর্নীতির ফাউল, মানুষের টাকা লোটার ফাউল। মানুষ সব দেখেছে। তাই বাংলার মানুষ তৃণমূলকে ‘রামকার্ড’ দেখাতে চলেছে।’

গত ২৩ জানুয়ারি থেকেই ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি নিয়ে উত্তপ্ত বঙ্গ রাজনীতি। শনিবার বাংলায় এসে বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডাও ওই ধ্বনিতে ‘মমতা কেন ভয় পাচ্ছেন’, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এদিন মোদীর মুখে সেই ধ্বনি শোনা না গেলেও তাঁকে স্বাগত জানাতেই বেশি করে যেন ‘জয় শ্রীরাম’ আওয়াজ তোলা হয় হলদিয়ার সভায়। হলদিয়ার সভায় নরেন্দ্র মোদীর বার্তা বাংলায় বিজেপি সরকার গড়ার। বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে তাঁর প্রথম রাজনৈতিক জনসভায় নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘বাংলায় এবার আসল পরিবর্তন আসবে। সত্যিকারের পরিবর্তন আসবে। বিজেপি-ই সরকার গড়বে এই রাজ্যে।’

বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বের সুরে মোদীর মুখেও রবিবার উঠে আসে ‘পিসি-ভাইপো’ শব্দবন্ধ। মমতা ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করতে গিয়ে মোদী বলেন, ‘বুয়া-ভাতিজার রাজত্বে তিতিবিরক্ত বাংলার মানুষ। আর কিছুদিন অপেক্ষা করলেই বাংলা তোলাবাজি, সিন্ডিকেটরাজ ও অপশাসন থেকে মুক্তি পাবে।’ সদ্যই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় রবিবার মোদী আসার আগেই ওই মঞ্চ থেকে বক্তৃতা করেন। তাঁদের নাম না করে স্বাগত না জানালেও বক্তৃতার মধ্যে সেটা বুঝিয়ে দেন। বলেন, ‘তৃণমূলের যে সকল কর্মীরা বুয়া-ভাতিজায় বিরক্ত, অতিষ্ঠ, তারাও এখন বাংলার জন্য কাজ করতে চেয়ে ওখান থেকে ‘রাম রাম’ করে এখানে ‘জয় শ্রীরাম’ করতে চলে এসেছেন।’

শিল্পশহরে এদিনের সভায় বাংলায় বক্তব্য শুরু করা থেকে বাঙালি মনীষীদের নামোচ্চারণ কিছুই বাদ দেননি মোদী। নেতাজি, বিবেকানন্দ, শ্যামাপ্রসাদ থেকে মাতঙ্গিনী হাজরা, ক্ষুদিরাম, সতীশ সামন্ত-সহ অনেকের নামই নিয়েছেন বক্তব্যে।

Related Articles

Leave a Comment