কলকাতা টুডে: পশ্চিমবঙ্গে ভোটের দিন এখনও ঘোষণা হয়নি। তবে এরই মধ্যে কেন্দ্র ও রাজ্যের শাসক দল বিজেপি ও তৃণমূল পশ্চিমবঙ্গে নিজেদের রাজনৈতিক অস্তিত্ব রক্ষায় মরিয়া হয়ে উঠেছে। ঠাকুরনগরে বৃহস্পতিবার বিজেপির সভা থেকে ঠিক এইরকমই মরিয়া মনোভাব ফুটে উঠল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে। প্রতিশ্রুতির বন্যায় মতুয়াদের ভাসিয়ে নিয়ে গেলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির শীর্ষনেতা অমিত শাহ। তবে তাতে মতুয়াদের মন ভরল কিনা সেটা সময় বলবে।
ঠাকুরনগরে দাঁড়িয়ে অমিত শাহ এদিন বলেন, ‘৭০ বছর ধরে মতুয়া, নমঃশূদ্ররা দেশের নাগরিকত্ব পাননি। ২০১৮ সালে বলেছিলাম মতুয়াদের নাগরিকত্ব বিজেপি দেবে। ২০১৯ সালে মতুয়া সমাজ বিজেপির ঝুলি ভরে দিয়েছিল। ২০২০ সালে সিএএ নিয়ে এসেছি। করোনার জন্য সিএএ থমকে গিয়েছে। মমতাদিদি বলছেন, বিজেপি মিথ্যা কথা বলছেন।আমি বলছি, আমরা যা বলি, তাই করি।’ এদিন ঠাকুরনগরের সভায় অমিত শাহ বলেন, ‘এপ্রিল মাসের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন না। তৃণমূল, বাম, কংগ্রেস সংখ্যালঘুদের ভয় দেখাচ্ছে। বলছে নাগরিকত্ব চলে যাবে। আমি এই পবিত্রভূমিতে দাঁড়িয়ে বলছি, সিএএ লাগু করবে বিজেপি, কারও নাগরিকত্ব যাবে না। সিএএ হলে মুসলিমদের নাগরিকত্ব যাবে না। বিজেপি ক্ষমতায় এলে ঠাকুরনগর রেলস্টেশনের নাম শ্রীধাম রেলস্টেশন হবে।’
এদিন কোচবিহারের সভার মতো ঠাকুরনগরের সভা থেকেও অমিত শাহ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে বলেন, ‘অনুপ্রবেশ রুখতে পারবে না মমতার সরকার বিজেপি ক্ষমতায় এলে শুধু অনুপ্রবেশ নয়, একটা পায়রাও ঢুকতে পারবে না।’
এদিন ৩০ জানুয়ারী ঠাকুরনগরে সভা করতে আসতে না পাড়ার প্রসঙ্গে অমিত শাহ বলেন, ‘আমি আগেরবার বাংলা সফরে আসলেও ঠাকুরনগরে না আসায় মমতাদিদি খুব খুশি হয়েছিলেন। আরে এপ্রিল তো অনেক দেরি। আমি এখানে এখন বারবার আসব। এরপর রাজ্যের উন্নয়নের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে অমিত শাহ বলেন, ‘গত পাঁচ বছরে গরিবদের ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে বিজেপি। আয়ুষ্মান ভারতে মানুষদের স্বাস্থ্যের জন্য ৫ লক্ষ টাকা দিয়েছে বিজেপি।শান্তনু ঠাকুরকে বলেছিলাম ঠাকুরনগরে আসব,এসেছি।’