কলকাতা টুডে: পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই দল ভাঙা-গড়ার খেলা জমে উঠেছে। এবার ভোটের মুখে ‘বেসুরো’ বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। ‘মতুয়াদের ব্ল্যাকমেল করা হচ্ছে,’ বলে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বনগাঁ উত্তরের বিজেপি বিধায়ক। সরাসরি তোপ দাগলেন মতুয়া পরিবারের সদস্য বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস তোপ দেগে বলেন, ‘যাঁরা ভোট দিয়েছেন, তাঁরা সবাই নাগরিক। শান্তনু ঠাকুর মতুয়াদের নিয়ে রাজনীতি করছেন। দলকে ব্ল্যাকমেল করছেন। নিজের স্বার্থ ছাড়া মতুয়াদের কথা ভাবছেন না। টিকাকরণ শেষ হতে প্রায় ৫ বছর লাগবে। তাহলে মতুয়ারা নাগরিকত্ব কি সেদিন পাবে? মতুয়াদের ব্ল্যাকমেল করা হচ্ছে।’ শুধু তোপ দাগাই নয়। সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের জবাবও দাবি করেছেন বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। সিএএ নিয়ে বলেন, ‘মতুয়া কার্ডের নাম করে উনি অনেক কিছু করছেন, আজ বলব না।’ পাশাপাশি জল্পনা উস্কে তিনি বললেন, ‘আমি আমার ভবিষ্যতের কথা জানাব।’
বৃহস্পতিবার ঠাকুরনগরের সভা থেকে মতুয়াদের আশ্বস্ত করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘোষণা করেন, ‘টিকাকরণ শেষ হলেই নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। আমি প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছি। তাড়াতাড়িই আপনারা সবাই ভারতের নাগরিক হিসেবে সবকা সাথ, সবকা বিকাশে সামিল হবেন। মমতাদিদি বলেছিলেন সিএএ হতে দেব না। কিন্তু আমরা সেই লোক, যা বলি তা করে দেখাই। আজ এই পবিত্রভূমিতে দাঁড়িয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছি, ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শেষ হলেই আপনাদের সবাইকে নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে যাবে।’ অমিত শাহের এই ঘোষণার পরদিনই শান্তনু ঠাকুরকে বিঁধে বিশ্বজিৎ দাসের বিস্ফোরক অভিযোগ ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
এদিকে ঠাকুরনগরে অমিত শাহের সভায় ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়নি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসকে। শুভেন্দু অধিকারীকে জানানোর পর তাঁকে সভায় ঢোকার ব্যবস্থা করা হয়। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎই বিশ্বজিৎকে দূরে রাখার কারণ বলে বিজেপি সূত্রে খবর। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, এর পিছনে রয়েছেন শান্তনু ঠাকুর।