Home সংবাদ পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী মইদুল, DYFI কর্মীর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ কোতুলপুর

পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী মইদুল, DYFI কর্মীর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ কোতুলপুর

by Kolkata Today

বাঁকুড়া, ১৫ ফেব্রুয়ারি: নবান্ন অভিযানে পুলিশী আক্রমণে DYFI কর্মী মইদুল ইসলাম মিদ্যার (৩১) মৃত্যুর অভিযোগ উঠল। সোমবার সকালে বাঁকুড়ার কোতুলপুরের চোরকোলা গ্রামের বাসিন্দা এই যুব কর্মীর কলকাতার একটি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল বাম ছাত্র যুব সংগঠনগুলি। পুলিশের তরফে বাম যুব কর্মীদের আটকানোর জন্য ব্যারিকেড তৈরি করে। এমনকি যথেচ্ছ লাঠিচার্জ, জলকামান, কাঁদানে সেল ছোড়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। আর ঐ ঘটনায় আরো অনেকের সঙ্গে গুরুতর আহত হন কোতুলপুরের মইদুল ইসলাম মিদ্যাও। প্রথমে তাকে সিপিআইএম নেতা ফুয়াদ হালিমের নার্সিং হোমে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে অন্য একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় রাজ্য রাজনীতি উত্তাল।

শোকস্তব্ধ কোতুলপুর। সোমবার ওই গ্রামে গিয়ে দেখা গেল ঘনঘন মূর্ছা যাচ্ছেন মৃত মইদুল ইসলাম মিদ্যার স্ত্রী। খবর পেয়ে পৌছে গিয়েছেন আত্মীয়স্বজনরা। বাড়িতে পাড়া প্রতিবেশীদের ভিড়। এসেছেন স্থানীয় সিপিআইএম নেতৃত্বও। সকলেই অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন। পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্যকে হারিয়ে দিশেহারা মইদুল ইসলাম মিদ্যার পরিবার। বাড়িতে রয়েছেন বৃদ্ধা মা, স্ত্রী ও তিন ছেলেমেয়ে। এই অবস্থায় কীভাবে সংসার চলবে ভেবে পাচ্ছেন না কেউই।

ডিওয়াইএফআই নেতা ধনঞ্জয় বেজ ঘটনার বিবরণ দিয়ে বলেন, ‘খুব দরিদ্র পরিবারের সন্তান। ধার দেনা করে টোটো কিনে সংসার চালাত।’ বাম ছাত্র যুব সংগঠনগুলির ডাকে নবান্ন অভিযানে তিনি অংশ নিয়েছিলেন। পুলিশী অত্যাচারে তার মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় যুক্ত পুলিশ কর্মীদের শাস্তির দাবি করেছে সংগঠনগুলি।

বাম কর্মীর মৃত্যুতে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। এক তরতাজা যুবককে ‘খুন’ করা হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন সুজন। বাম নেতা ও চিকিতসক ফুয়াদ হালিম দাবি করেছেন, দেহে লাঠির আঘাতের চিহ্ন ছিল। লাঠির আঘাতের জেরেই এই ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

Related Articles

Leave a Comment