সোমবার বিধানসভায় বাজেট অধিবেশনের দিনের ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ রাজ্যপালের। তিনি বলেন, ”বিধানসভার মতো পবিত্র জায়গার মধ্যে রাজ্যপালকে ‘ঘেরাও কিংবা অবরোধ’-এর প্রশংসা করার অথবা এর পিছনে কোনও যুক্তি খোঁজার কারণ থাকতে পারে না।” মঙ্গলবার নজরুল মঞ্চে তৃণমূলের সাংগঠনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগের দিন বিধানসভায় বিশৃঙ্খলার কড়া সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, সোমবার বিজেপি গণতন্ত্রকে হত্যার চক্রান্ত করেছিল। সেই ভিডিয়ো টুইট করে রাজ্যপালের (Governor Jagdeep Dhankhar) আক্রমণ। টুইটে লেখেন, “কোথায় যাচ্ছি আমরা! কেনই বা এটা করা হচ্ছে! বিধানসভা অধিবেশন কক্ষের ভিতরের ‘বিশৃঙ্খলা’, ‘অব্যবস্থা’কে কি মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী সাধুবাদ জানালেন! গণতন্ত্রকে বাঁচিয়ে রাখতে আমাদের সবাইকে কাজ করতে হবে।”
WB Guv:
There can be no justification to sanctify, much less applaud, ‘gherao/blockade’ of Guv in the hallowed precincts of august WBLA.
Reflect !!
Where are we heading !
and Why !
Hon’ble CM applauding What ! “Disorder” in House !
We all need to work to blossom democracy. pic.twitter.com/CpxKkoJB6d— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) March 9, 2022
সোমবার বেলা ২টোয় রাজ্যপালের ভাষণ দিয়ে বিধানসভার বাজেট অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাজ্যপাল বিধানসভায় প্রবেশ করতেই ব্যানার হাতে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। বিজেপি বিধায়কদের বারবার শান্ত হতে অনুরোধ করেন রাজ্যপাল। কিন্তু তাতে বিক্ষোভ থামেনি।
তুমুল বিক্ষোভের পরে শেষ পর্যন্ত বাজেট ভাষণের প্রথম ও শেষ লাইন পড়েন রাজ্যপাল। গোটা ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ”এটা পরিকল্পিত বিশৃঙ্খলা। এক ঘণ্টা ধরে অসভ্যতা করেছে BJP। এরকম ঘটনা আগে কখনও দেখিনি। অনেক রাজ্যেই নানারকম মতবিরোধ থাকে। তা বলে এরকম কোথাও হয় না।”
ওইদিনের অধিবেশনের শুরুতেই পুরভোটে হওয়া “সন্ত্রাস” নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন BJP বিধায়করা। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা Suvendu Adhikari -র নেতৃত্বে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। ঘটনায় ক্ষুব্ধ হন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
আরও পড়ুনঃ রাজ্যপালের ভাষণে বাধা দেওয়ায় সাস্পেন্ড ২বিজেপি বিধায়ক
ওই দিনের ঘটনা নিয়ে আলোচনার জন্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চিঠি দেন রাজ্যপাল। ধনখড় জানান, তিনদিনের মধ্যে তিনি আলোচনায় বসতে চান। বারবার বিক্ষোভরত বিধায়কদের নিজেদের আসনগ্রহণের আর্জি জানান তিনি। রাজ্যপাল নিজের আসন ছেড়ে চলে যেতে চাইলে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শশী পাঁজা তাঁকে আসন ছেড়ে না যেতে অনুরোধ করেন। ওইদিন রাজ্যপালকে বিধানসভা না ছাড়ার অনুরোধ জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।