কলকাতা, ২৮ ফেব্রুয়ারি: টলিউডে এখন রাজনীতির রং। কেউ নাম লেখাচ্ছেন সবুজ মঞ্চে তো কেউ যাচ্ছেন গেরুয়া শিবিরে। এমন সময়ে তিনি যে ‘দিন হোক বা সাল’ লাল শিবিরেই আছেন, আরও একবার সেই বার্তা দিলেন শ্রীলেখা মিত্র।
রবিবার ব্রিগেডের পথ ধরার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। ব্রিগেডের পথ ধরার জন্য নখে বিশেষ নেল পেন্টিংও করেছেন তিনি। সেখানে কাস্তে-হাতুড়ি এঁকে লাল-শিবিরের প্রতি তাঁর আনুগত্য বুঝিয়েছেন শ্রীলেখা। অন্য একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে হাতে লাল-ঝান্ডা ধরে রেখেছেন তিনি। এছাড়াও রবিবার ব্রিগেডে গিয়েছেন পরিচালক তরুণ মজুমদার, কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, সুরকার দেবজ্যোতি মিশ্র, অভিনেতা বাদশা মৈত্র। মঞ্চে উঠে শ্রীলেখা মিত্র বলেন, ‘আজ এখানে যে এত মানুষ এসেছেন, এত মানুষের ভিড়, মনে রাখবেন ব্যালট পেপারে যেন ভোটটা ঠিক জায়গায় পড়ে। ইনকিলাব জিন্দাবাদ। বিকল্প একটাই।’
আজ দশ লক্ষ মানুষের সমাগমে ঐতিহাসিক ব্রিগেড হবে কিনা তা সময় বলবে। তবে শুরুটা হল অনেকের চোখে জল এনে। অসংখ্য লাল পতাকা তখন এসে মিলছে বিভিন্ন দিক থেকে। তখন ব্রিগেডে নিহত মইদুল ইসলাম মিদ্যার জন্য গান ধরলেন নীলাব্জ নিয়োগী, যে তরুণ টুম্পা সোনার প্যারোডি গেয়েছিলেন। তরুণ প্রজন্মকে বলতে শোনা গেল, ‘মইদুল এ লড়াই একদিন জিতে নেবো ঠিক।’ সলিল চৌধুরীকে মনে করিয়ে দিলেন দেবোজ্যোতি মিশ্র, লাখো মানুষের সামনে গানে গানে বার্তা গেল, সারা পৃথিবী জুড়ে সবাই ভালো থাকুক। গানে গানে বার্তা দিলেন গণনাট্য সংঘের সাংস্কৃতিক কর্মীরাও।
অতীতে বাম-কংগ্রেস অর্থাৎ লাল ঝাণ্ডা আর তেরঙ্গা পতাকাকে একসঙ্গে দেখা যায়নি এই বঙ্গে। সে দিক থেকে দেখতে গেলে এই ব্রিগেড চমকপ্রদ। ছিল আব্বাস সিদ্দিকির সেকুলার ফ্রন্টও। বিমান বসু আগেই জানিয়েছেন, অন্তত সাত লক্ষ লোককে ব্রিগেডে দেখা যাবে। শুধু লোক জড়ো করাই নয়, বামেরা চাইছে তরুণ মুখকে দলে টানতে। সেই কারণেই অস্ত্র হয়ে উঠেছে নাচ-গান।