Home রাজনৈতিক বড় পুরস্কার শতাব্দীকে, জেলা কমিটি থেকে বাদ জিতেন্দ্র

বড় পুরস্কার শতাব্দীকে, জেলা কমিটি থেকে বাদ জিতেন্দ্র

by Kolkata Today

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকের পর যাবতীয় ক্ষোভ, অসন্তোষ, মান-অভিমান ভুলে তৃণমূল কংগ্রেসে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেত্রী শতাব্দী রায়। বৈঠকের পরেই কার্যত বিদ্রোহে ইতি টানেন। আর এরপরেই তৃণমূলের তরফে বড় উপহার বীরভূমের সাংসদকে। জানা যাচ্ছে, তৃণমূলের রাজ্য কমিটির সহ-সভাপতি হচ্ছেন শতাব্দী রায়। সহসভাপতি হচ্ছেন মোয়াজ্জেম হোসেন ও শঙ্কর চক্রবর্তীও। বিজেপিতে না গিয়ে দলে থাকার জন্যেই কি শতাব্দীকে বড় পুরস্কার দেওয়া হল তৃণমূলের তরফে? এমনটাই প্রশ্ন রাজনৈতিকমহলের।

এই প্রসঙ্গে শতান্দী জানিয়েছেন, ‘দায়িত্ব পাওয়ায় আমি খুব খুশি। আমি মনে করি, আমার দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল। আমি বরাবরই কাজ করে এসেছি। আগামীদিনে আরও ভালভাবে কাজ করতে চাই। আমাকে এই দায়িত্ব দেওয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেকের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। দলে কী কী সুবিধা-অসুবিধা হচ্ছে, তা জানালে দল তা শোনে, এটাই তার প্রমাণ। হয়তো আগে সঠিক জায়গায় যেতে পারিনি বলেই সমস্যার সমাধান হয়নি।’

উল্লেখ্য, ফ্যানপেজ ফেসবুক পোস্টে শনিবার সিদ্ধান্ত নেওয়ার লাল তারিখ ঘোষণা করেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ শতাব্দী রায়। আর এরপরেই জল্পনা বাড়িয়ে শতাব্দী বলেন,’অমিত শাহের সঙ্গে কথা বলা বা না বলাটা বিরাট ব্যাপার নয়। আমি এমপি, উনি মিনিস্টার, দেখা করতেই পারি।’ এরপরই শতাব্দীর মানভঞ্জনে তৎপর হয় তৃণমূল নেতৃত্ব। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন কুণাল ঘোষ। দুপুরেই শতাব্দী রায়ে আনোয়ার শাহ রোডের বাড়িতে কুণাল ঘোষকে পাঠায় তৃণমূল। দুজনের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথাও হয়। শতাব্দীকে ফোন করেছিলেন দলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যাও। সন্ধ্যেয় কুণালই শতাব্দীকে নিয়ে যান ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেকের অফিসে। সেখানেই বরফ গলে।

শতাব্দীকে পুরস্কৃত করা হলেও ব্রাত্য রাখা হল সম্প্রতি দলের প্রতি বিদ্রোহী হয়ে ওঠা জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে। মালদা ও পশ্চিম বর্ধমানের নতুন জেলা কমিটি গঠন করা হল। পশ্চিম বর্ধমানের জেলা কমিটি থেকে বাদ পড়লেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তাঁর জায়গায় পশ্চিম বর্ধমানের জেলা সভাপতি পদে এলেন অপূর্ব মুখোপাধ্যায়।

Related Articles

Leave a Comment