Home রাজনৈতিক ভোট পরবর্তী হিংসায় ‘নিহত’দের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রাজভবনে বিজেপি

ভোট পরবর্তী হিংসায় ‘নিহত’দের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রাজভবনে বিজেপি

by Soumadeep Bagchi

কলকাতা টুডে ব্যুরো:বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণার পর ১ বছর কেটে গিয়েছে। মামলা আদালত ঘুরে সিবিআই-এর হাতে উঠেছে। কিন্তু ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস ইস্যুতে রাজনৈতিক তরজা চলছে সমান তালে।নিহত বিজেপি কর্মীদের পরিবার-পরিজনকে সঙ্গে নিয়ে রাজভবনে বেনজির ভাবে দরবার করে বিজেপি। রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ের ধর্না মঞ্চ থেকে রাজভবনে গিয়ে স্মারকলিপি দেয় তারা। রাজ্যপালের হাতে নিহতদের নামের তালিকা তুলে দেন সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারীরা। প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালকে ধরে কাঁদতে দেখা যায় কেতুগ্রামের নিহত বিজেপি কর্মী বলরাম মাঝির মাকে।  কেউ কেউ আবার রাজ্যপালের সামনে হাঁটু গেড়ে বসে সুবিচার চান।

সেখানেই বক্তৃতা করতে গিয়ে রাজ্যকে নিশানা করেন ধনকড়। রাজভবনের অলিন্দ থেকে ধনকড় বলেন, “হিংসা কোনও সমাধান নয়, সমাজের কলঙ্ক। হিংসার তাণ্ডব নৃত্যে রাজ্যকে কলঙ্কিত করেছে। এক বছর পরও তাঁরা যে সাহায্য পাননি, সুবিচার পাননি, এটা চিন্তার বিষয়। এটা দেখে আমি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব। রামপুরহাটের স্বজনহারাদের মতো এদেরও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক।”তৃণমূল নেত্রীকে  দলগত রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

 

এ দিন মমতার বিরুদ্ধে রক্তের হোলি খেলার অভিযোগ করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “২১৩-র দম্ভ-অহংকার-ঔদ্ধত্যে, বিরোধী শক্তিকে নিকেশ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে এই বাংলার অত্যাচারী শাসনের যিনি সর্বময়ী কর্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যিনি ভোটের আগেই ঘোষণা করেছিলেন যে খেলা হবে। তিনি প্রকাশ্যে বলেছিলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী কতদিন? মঞ্চ থেকে বলেছিলেন, যে কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে গেলে কী হবে? মঞ্চের নীচে থাকা জাহাঙ্গির খান, শওকত মোল্লা, আরাবুল ইসলামরা গোটা পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের, এই রক্তের হোলি খেলার যারা নেতা, তারা নীচ থেকে বলেছিল, দিদি খেলা হবে। সেই খেলা হবার মাসুল দিয়েছে এই শহিদ পরিবারের সদস্যরা।”

 

এদের সুকান্ত মজুমদার রাজ্য সরকিরকে আক্রমণ কভোট পরবর্তী হিংসায় ‘নিহত’দের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রাজভবনে বিজেপিরেন।

 

Related Articles