কলকাতা টুডে ব্যুরো: সাত মাস আগে শুরু হয়েছিল অভিযান। ভারতীয় সময়ে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে পৃথিবী দেখল এক বিরল ছবি। মঙ্গলের মাটিতে পা রাখল নাসার মহাকাশযান পারসিভিয়ারেন্স রোভার। ধরা পড়ল লাল গ্রহের মাটিও।
রহস্যের মোড়কে ঢাকা মঙ্গলকে নিয়ে তৈরি হয়েছে অনেক কাহিনি। লেখা হয়েছে সায়েন্স থ্রিলার। তৈরি হয়েছে সিনেমা। একটা সময় পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা এমনও দাবি করেছেন, মঙ্গলে ছিল প্রাণের উপস্থিতি। নাসার বিশেষ যান এ বার উদ্ঘাটন করবে না জানা সেই অনেক রহস্য। আগামী কয়েক বছর বিশেষ এই যান সমস্ত কিছু খুঁজে বের করার কাজ করবে। মঙ্গলের লাল মাটি খুঁড়ে সংগ্রহ করা হবে জীবাশ্ম, সেখানকার জল এবং আরও নানা নমুনা। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, সমস্ত কাজ শেষ করে ২০৩০ সালে পৃথিবীতে ফিরবে পারসিভিয়ারেন্স রোভার। মঙ্গলের মাটিতে পা দিয়েই সেখানকার একটি সাদা কালো ছবিও পাঠিয়েছে এই বিশেষ যান। নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, মঙ্গলের জেজোরা নামক গহ্বর থেকে এই ছবি পাঠানো হয়েছে। ধীরে ধীরে রোভার তার কাজ শুরু করলে অনেক অজানা তথ্য প্রকাশিত হবে বিশ্বের সামনে।
মঙ্গলে পারসিভিয়ারেন্স রোভারের অবতরণ একই সঙ্গে জো বাইডেন প্রশাসনের মুকুটে যুক্ত করল প্রথম সেরা সাফল্যের পালক। নিজের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডলে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট টুইট করেন, ‘নাসা এবং সেই সমস্ত মানুষদের অভিনন্দন জানাই, যাঁরা এই ঐতিহাসিক অভিযানকে সফল করার জন্য অক্লান্ত এবং নিরলস পরিশ্রম করেছেন। আজ আরও একবার প্রমাণিত হল, বিজ্ঞান এবং আমেরিকার উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজা লাগানো গেলে কিছুই অসম্ভব নয়।’
নাসার তরফেও দাবি করা হয়েছে, ১৯৬৫ সালের পর থেকে যতগুলি অভিযান হয়েছে মঙ্গলকে কেন্দ্র করে, তার মধ্যে এই পারসিভিয়ারেন্স রোভার যানের ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি। ভবিষ্যতে রহস্যে মোড়া এই গ্রহের অনেক গল্প জানতে পারবেন এই গ্রহের মানুষ।’