কলকাতা টুডে ব্যুরো: দলের হুঁশিয়ারির পরেও ফের প্রকাশ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিবৃতি দিলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। তৃণমূলে যখন অভিষেকের ‘ব্যক্তিগত মত’ প্রসঙ্গে কুণাল-কল্যাণ বিতর্ক তুঙ্গে, যখন শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে নির্দেশ আসছে কিছু বলার থাকলে দলের ভিতরে বলা হোক, ঠিক সেই সময়েই প্রকাশ্যে এলেন মদন।
আরও পড়ুনঃপশ্চিমী ঝঞ্জার দাপটে পৌষের শেষেও মুখ ঢেকেছে শীত
শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে সতর্ক করেছিলেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রকাশ্যে কোনো বিবৃতি দিতে না করে ছিলেন দলের সদস্যদের। নাম না করে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় কে যে করলেন বন্দ্যোপাধ্যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কে সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র আক্রমণ করেছেন তার ‘ব্যক্তিগত মত’প্রসঙ্গে।
আরও পড়ুনঃ ‘এতদিনে কী বোধোদয় হল?’, রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ শমীকের
তবে মহাসচিব এর হুঁশিয়ারিকে তোয়াক্কা না করে সোশ্যাল মিডিয়ায় সকলের সামনে আসেন মদন মিত্র। এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হুঁশিয়ারি প্রসঙ্গ টেনে এনে মদন মিত্র বললেন,” “কিছু চুটকি নেতা হঠাৎ আমি দেখছি বলছে, ‘এই জানিস আমি কে’ বলে নাচানাচি করছেন। মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন,”আমি বলছি মহাসচিব মহাশয়, আপনি বলছেন আপনি কেবল পার্থ চট্টোপাধ্যায় নন, মহাসচিব…শৃঙ্খলারক্ষাল কমিটির সভাপতি, আপনি বলুন, কোথায় কখন শৃঙ্খলা রক্ষাল করতে হবে, কতটুকু করতে হবে। এটা তো অস্বীকার করার জায়গা নেই, অভিষেকের অফিসে গেলে অভিষেককে পাওয়া যায় না। অফিসের তলায় যাঁরা দায়িত্বে থাকেন তাঁদের পাওয়া যায়।”
আরও পড়ুনঃ ‘তৃণমূলের থেকে আলাদা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়,’ কটাক্ষ দিলীপের
তিনি বলেন, “শুনছিলাম, যার যা বিক্ষোভ তা দলের মধ্যে বলার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। আমার প্রশ্ন, দলের মধ্যে কোথায়, কাকে বলতে হবে। তাঁকে কোথায় পাওয়া যাবে। কারণ কর্মীরা বলছেন, তৃণমূল ভবনে একমাত্র সুব্রত বক্সী ছাড়া কাউকে পাওয়া যায় না।”
আরও পড়ুনঃ ‘এতদিনে কী বোধোদয় হল?’, রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ শমীকের
বিধায়কের এ হেন বয়ানবাজিতে হতবাক তৃণমূল। যদিও, মদন মিত্রের এই লাইভ নিয়ে এখনও মুখ খোলেননি কোনও তৃণমূল নেতা।
মদনের লাইভ-বিতর্ক কোন দিকে মোড় নেয় সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক শিবির।
Topics
Madan Mitra BJP TMC Administration Kolkata