কলকাতা টুডে ব্যুরো:উত্তরপ্রদেশে দুবার গিয়ে প্রচার করেও সমাজবাদী পার্টি এবং অখিলেশ যাদবের ভোট বৈতরণী পার করতে পারলেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হতেই দেখা গেল, ফের ক্ষমতায় বিজেপি। ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গিয়েছে গেরুয়া শিবিরের আসন সংখ্যা। উল্টোদিকে সমাজবাদী পার্টি ১৫০-র গণ্ডি পার করতে ব্যর্থ। এই প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দাগলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
তিনি বলেন, ‘আগামী লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদীই হলেন আমাদের প্রধানমন্ত্রীর মুখ। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে স্পষ্ট যে রাজ্যের বাইরে তৃণমূল নেই। অন্যদিকে, কেজরিওয়ালের দল এবারে দিল্লির পাশাপাশি পঞ্জাবেও সরকার চালাবে। ফলে মমতা না কেজরিওয়াল কাকে বিরোধী শক্তির মুখ করা হবে তা বিরোধীরায় ঠিক করবেন। ‘অর্থাৎ মমতাকে যে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে সেই প্রশ্নই কার্যত তুলে ধরেন সুকান্ত মজুমদার। তাঁর প্রশ্ন, যেখানে আম আদমি পার্টি পঞ্জাব জয় করতে পেরেছে সেখানে তৃণমূল একটাও আসনে জয় লাভ করতে পারেনি। তাহলে কেজরিওয়াল কেন বিরোধীদের মুখ নন?
এদিন মুরলীধর সেন লেনে বিজেপির সদর দফতরে উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, গোয়া এবং মণিপুরে দলের বিরাট জয় নিয়ে বলেন সুকান্ত। সেখানেই তিনি আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রীকে। বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাঁর যাঁর হাত ধরেছেন, যাঁর মাথায় হাত রেখেছেন তাঁরাই ডুবেছে। উত্তরপ্রদেশে গিয়ে অখিলেশের মাথায় হাত রেখেছিলেন, কী হল! সবাই জানে ওনার সংস্পর্শে এলে কী হয়।
এরপরই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন সুকান্ত। বলেন, আমি তো এটাও শুনেছি, ২০১৯ সালে বিরাট কোহলি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ছিলেন। তার পর থেকে তিনি সেঞ্চুরি করা ভুলে গেছেন। বিরাটের কেরিয়ারও শেষ হয়ে গেছে।
Topics
Sukanta Majumdar BJP TMC Administration Kolkata