কলকাতা টুডে ব্যুরো: “২ থেকে ১৮টি লোকসভা আসন জিততে যেসব নেতার অবদান ছিল তাঁদের ক্রমেই অবজ্ঞা করা হল। বদলে বাংলার বাইরে থেকে লোকজন আসা শুরু হয়। যাঁদের তৃণমূল বলেছিল বহিরাগত। সঙ্গে অন্য দল থেকে ভাঙিয়েও নেতা আনা হল। যার পরিণতি একুশের ভোটে পরাজয়।”বরখাস্ত হওয়ার ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই শিবিরের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন বরখাস্ত বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার।
আরও পড়ুনঃ ’এই সব নাটক নির্বাচনের আগে হয়,’ অখিলেশের সমর্থনে মমতার সভা নিয়ে কটাক্ষ দিলীপের
মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করেন জয়প্রকাশ মজুমদার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য প্রশংসা শোনা যায় তার কথায়। তিনি বলেন,”বিরোধী রাজনীতি কীভাবে করতে হয় তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে শেখা উচিত। এখন বিজেপির আন্দোলন আদালত কেন্দ্রীক। ২০০৮-৯ সালে যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বামপন্থীদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন তখন তা ছিল মাঠে ময়দানে। তিনি আদালতের মুখাপেক্ষী হয়ে বসে থাকেননি।”
আরও পড়ুনঃ টিটাগড়ে তৃণমূল বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীর উপর হামলা , অল্পের জন্য রক্ষা
তাঁর কথায়, “সুকান্ত মজুমদারের রাজনীতির অভিজ্ঞতা আড়াই বছরের। দলের সাধারণ সম্পদক (সংগঠন) রাজনীতি করছে মাত্র ২ বছর। এঁদের বিপক্ষে রয়েছেন মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাঁকে আজ দেশব্যাপী বিরোধী রাজনীতির মুখ বলা হচ্ছে। পছন্দ না হলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনৈতিকভাবে একজন অতি কূশলী নেত্রী। তিন দিন খেলে মেসির দলের বিরুদ্ধে লড়া যেমন যায় না, এক্ষেত্রেও ঠিক তাই হয়েছে।”
তাঁর অভিযোগ, “ভার্চুয়াল বৈঠকে কেউ কিছু বলতে গেলে, প্রশ্ন করলেই তাঁর মাইক বন্ধ করে দেওয়া হত। দোষ-ত্রুটি ঢাকার কোনও দিকনির্দেশ ছিল না। আসলে চাদর চাপা দিয়ে রোগ সারানো সম্ভব নয়।কর্মীরা ভালো নেই। এর মধ্যেই আমাদের শাস্তি দিয়ে ভয় দেখানোর চেষ্টা চলছে। আসলে বর্তমানে দলের নেতারা শান্তনু ঠাকুরের নেতৃত্বে মতুয়াদের আন্দোলন নিয়ে ভয় রেয়েছেন। যেসব কর্মী তৃণমূলের অত্যাচার সহ্য করে গেরুয়া ঝান্ডা ধরেছেন তাঁরা কাচের ঘরে বসা নেতাদের ভয় পাবে এটা ভাবা অলীক স্বপ্ন।”
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মঙ্গলবার তিনি বললেন,”দিলীপদার আরও একবছর সময়কাল ছিল। ২০২২ সালের শেষে সাংগঠনিক নির্বাচন হবে। সঙ্গে সঙ্গে জেলা সভাপতি ও রাজ্যের পদাধিকারীদের নাম ঘোষণা করে দিলেন। কাজের লোকের থেকে কাছের লোকের তত্ত্বের উপরে তৈরি হয়েছে কমিটি। ৪২ সাংগঠনিক জেলার মধ্যে অন্তত ৩২টি জেলার সভাপতিকে জেলার লোকেরা চেনেন না। দিলীপবাবুও বলেছেন, আরে ৬ বছর সভাপতি ছিলাম। আমিই চিনিই না। তৃণমূলকে হারিয়ে বাংলা দখল নয়। সংগঠন দখল করাই উদ্দেশ্য। এর পিছনে রয়েছে টুইটার মালব্য। নিজের লোক নিয়োগ করছে। ওদের অ্যাজেন্ডা তৃণমূলকে সুবিধা পাইয়ে
দেওয়া।”
Topics
Jay Prakesh Majumdar BJP TMC Administration Kolkata