নিজস্ব প্রতিনিধিঃ দিনভর নাটক শেষেও বিজেপি-র মিছিলে এলেন না শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভা নির্বাচনের আগে যা বিড়ম্বনা বাড়াল বিজেপি। দলীয় সূত্রে খবর, সোমবার বিজেপির এই মিছিলের আসল উদ্দেশ্য ছিল গেরুয়া শিবিরে শোভন-বৈশাখীকে প্রতিষ্ঠা দেওয়া। দেড় বছর আগে দলে যোগ দিলেও, এখনও পর্যন্ত বিজেপির কোনও কর্মসূচিতে সক্রিয় ভাবে অংশ নিতে দেখা যায়নি তাঁদের। কলকাতা জোনে শোভনকে পর্যবেক্ষক এবং বৈশাখীকে সহ-আহ্বায়ক নিযুক্ত করে নতুন করে দুজনকে সামনে আনার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু এবারও সেই একই ছবি। মিছিল বা কর্মসূচিতে শোভন-বৈশাখীকে নামাতে ব্যর্থ রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব।
কলকাতা জোনের কমিটিতে কেন শঙ্কুদেব পাণ্ডাকে সহ-আহ্বায়কের পদ দেওয়া হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বৈশাখী। পরিস্থিতি সামাল দিতে রাতেই শোভন-বৈশাখীর গোলপার্কের বাড়িতে ছুটে যান দেবজিৎ সরকার, রাকেশ সিংহরা। যান শঙ্কুদেব নিজেও। কিন্তু বৈশাখী সাফ জানিয়ে দেন, শঙ্কুদেব থাকলে মিছিলে অংশ নেবেন না তিনি। বৈশাখী বেঁকে বসায় শোভনের মিছিলে যোগ দেওয়া নিয়েও সংশয় তৈরি হয়।
সোমবার সকাল থেকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ফোনে শোভন, বৈশাখীর মান ভাঙানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। হস্তক্ষেপ করতে হয় রাজ্যে বিজেপির কেন্দ্রীয় সহপর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেননকেও।
শত চেষ্টা করেও কারও মান ভাঙানো যায়নি। তাই শেষমেশ শোভন, বৈশাখী এবং শঙ্কুদেবকে ছাড়াই সাড়ে ৩টেয় মিছিল বার হয়। তাতে যোগ দেন মুকুল, এ রাজ্যে বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংহ এবং অন্যান্যরা। শোভন-বৈশাখীর মিছিলে না থাকা নিয়ে প্রশ্ন করলে কৈলাস বলেন, ‘মিছিলে কে এল, কে না এল, তা বড় কথা নয়। এটা বিজেপির মিছিল। আমার আমন্ত্রণ রয়েছে, আমি যাচ্ছি।’