কলকাতা, ৫ ফেব্রুয়ারি: এবার আর কারও বাড়িতে নয়, শনিবার মালদহের মাঠে বসে খিচুড়ি খাবেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। একা নন, রাজ্য নেতাদের নিয়ে হাজার তিনেক কৃষকের সঙ্গে এক পঙ্ক্তিতে বসে মধ্যাহ্নভোজ সারবেন নাড্ডা। সব ব্যবস্থা করছে রাজ্য বিজেপি। গেরুয়া শিবির গণভোজ কর্মসূচির নাম দিয়েছে ‘সহভোজ’। এখনও পর্যন্ত জেপি নাড্ডার যে সফরসূচি জানা গিয়েছে, তাতে শুক্রবার রাতেই কলকাতায় আসছেন তিনি।
শনিবার তাঁর প্রধান কর্মসূচি নবদ্বীপ থেকে ‘পরিবর্তন যাত্রা’ নামে বিজেপি-র প্রস্তাবিত রথযাত্রার সূচনা। শুক্রবার নদীয়া জেলা প্রশাসন রথযাত্রার অনুমতি দিয়েছে। তাতে খুশি বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। রাজ্যের যে পাঁচটি রথ বার করার সিদ্ধান্ত বিজেপি নিয়েছে, এটি তারই একটি। এই রথ উত্তরবঙ্গের সব বিধানসভা এলাকায় ঘোরানোই লক্ষ্য বিজেপি-র। তবে রথযাত্রার সূচনার আগে নাড্ডা শনিবার সকালে প্রথম যাবেন মালদহে। সেখানকার সাহাপুরের একটি মাঠে হবে গণভোজ। তাতে অংশ নেওয়ার পরে ইংরেজবাজারে একটি রোড শো করে নবদ্বীপে যাবেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি।
রাজ্য বিজেপি নড্ডার ‘সহভোজ’ কর্মসূচিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েই দেখছে। নীলবাড়ি দখলের লক্ষ্যে কৃষকমন জয় করতে ‘কৃষক সুরক্ষা অভিযান’ নামে রাজ্যে কর্মসূচি চলছে বিজেপি-র। ডিসেম্বরে বঙ্গসফরে এসে নাড্ডাই পাঁচটি বাড়িতে ‘মুষ্টিভিক্ষা’ করে সেই কর্মসূচির সূচনা করেছিলেন। তখনই ঠিক হয়েছিল, ভিক্ষায় সংগৃহীত চাল ও সবজি নিয়ে হবে গণভোজ। তারই প্রথমটি মালদহে হতে চলেছে শনিবার। সেখানে নাড্ডার সঙ্গে পংক্তিভোজে যোগ দেওয়ার জন্য তিন হাজার কৃষককে নিয়ে আসার লক্ষ্য নিয়েছে বিজেপি। রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ-সহ রাজ্য নেতৃত্বের পাশাপাশি গণভোজে অংশ নেবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী।
কেন এমন কর্মসূচি? দেবশ্রী বললেন, ‘কৃষকরা আমাদের অন্নদাতা। তাঁরা সমাজের অন্যতম স্তম্ভ। তাঁদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্যই এই কর্মসূচি। কৃষকদের সম্পর্কে বিজেপি-র ভাবনা স্পষ্ট করতে খোদ নাড্ডা’জি তাঁদের সঙ্গে বসে খাবেন। সকলের জন্যই এক ব্যবস্থা থাকবে।’