কলকাতা টুডে ব্যুরো:হায়দরাবাদে অমিত শাহ বক্তব্য রাখতে গিয়ে তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী বাংলা বানানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন। এই প্রশ্নের জবাবে দিলীপ ঘোষ বলেন, ”আটজন মহিলা, দুজন শিশুকে পুড়িয়ে মারা হয় ঘরের ভেতরে। ১৩ বছরের মেয়েকে ধর্ষণ করে খুন করা হচ্ছে।
পাড়ায় পাড়ায় এরকম ঘটনা হচ্ছে, খুন হচ্ছে। তাতে বাংলার বদনাম হয়নি আর অমিত শাহ বললেই বাংলার বদনাম হয়ে যাবে! সারা দেশের জানার দরকার আছে পশ্চিমবঙ্গে রাজনীতি কীভাবে চলছে, কীভাবে আইনের ব্যবস্থা আছে এখানে, গণতন্ত্র কী অবস্থায় আছে, সারা দেশের জানা উচিত। তেলেঙ্গানাতেও ইদানিং যেহেতু আমাদের পার্টি শক্তিশালী হয়েছে, হায়দরাবাদ কর্পোরেশন নির্বাচনে ভালো রেজাল্ট করেছি আমরা।
তারপর থেকে বিজেপির উপর অত্যাচার শুরু হয়ে গিয়েছে, সঞ্জয় কুমার যিনি ওখানকার প্রেসিডেন্ট আছেন বিজেপির এবং এমপি, পার্টি অফিসের গ্রিল কেটে গ্যাস কাটার দিয়ে তাকে ওখান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আর অত্যাচার করা হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই তাই হায়দরাবাদের পরিস্থিতির সঙ্গে এখানকার পরিস্থিতি সাথে তুলনা করেছেন অমিত শাহ।” “অপরাধীরাই তো এখন পার্টির নেতা হয়ে গিয়েছে, পুলিশের হিম্মত নেই ওদের গায়ে হাত দেওয়ার, রহড়া বোমা বিস্ফোরণে এক তরুণের মৃত্যুর পর কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। উল্লেখ্য, রহড়া থানা এলাকায় বোমা বিস্ফোরণে শনিবার মৃত্যু হয় এক তরুণের।
উত্তর ২৪ পরগণা জেলার রহড়া থানার অদূরে স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। রাজ্যে একের পর এক হিংসার ঘটনায় এমনিতেই শাসকদলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়-সহ বিরোধীরা। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। আর সেই তদন্ত নিয়েই এদিন সাংবাদিকদের সামনে এভাবেই তোপ দাগলেন দিলীপ ঘোষ। এদিন দিলীপ ঘোষ বগটুই প্রসঙ্গ টেনে বলেন,” বগটুইকাণ্ডে পার্টির নেতারাই সবচেয়ে বড় অপরাধী।মুখ্য়মন্ত্রীকে তার নাম সবার সামনে দাঁড়িয়ে বলতে হচ্ছে। কী করে আমরা আশা করতে পারি, পুলিশ কিছু করবে।”
তবে বগটুই কাণ্ডের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের কড়া নির্দেশ পেয়ে এখন রাজ্য জুড়েই তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। এরপর উদ্বার হওয়া বোমার সংখ্যা তাক লাগানোর মতো। এনিয়ে দিলীপ আরও বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী বলার পর লোক দেখানোর জন্য সামনে নিয়ে আসা হয়েছে কিছু জিনিস। আসল অস্ত্র কোথায় আছে, কার কাছে আছে, সব জানে পুলিশ। পুলিশ খোঁজ করবে না। পঞ্চায়েন নির্বাচনের সময় সেই অস্ত্র নিয়েই পুলিশ-অপরাধীরা একসঙ্গে আমাদের উপর হামলা করেছে।”