নিজস্ব প্রতিনিধিঃ মুম্বই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে ম্যাচকে ফাইনাল ধরে নিয়েই রবিবার মাঠে নামছে এটিকে মোহনবাগান। কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের বার্তা, ‘পাখির চোখ এখন এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। তাই ফাইনাল ভেবে ম্যাচটা খেলতে হবে। শুরু থেকেই আক্রমণের ঝড় তুলে বিপক্ষকে কোণঠাসা করে দিতে হবে।’ এর মধ্যে দলের জন্য সুখবর হল, হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট সারিয়ে ফিরছেন মাঝমাঠের ভরসা এডু গার্সিয়া। মার্সেলিনহোও পুরো ফিট। তিনিও খেলবেন। ফলে মাঝমাঠ থেকে স্ট্রাইকারদের কাছে বল বাড়ানোর সমস্যা মিটে যাবে।
১৯ ম্যাচে ৪০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে সবুজ-মেরুন। সমসংখ্যক ম্যাচ খেলে মুম্বইয়ের ঝুলিতে ৩৭ পয়েন্ট। তাই রবিবারের ম্যাচ থেকে মাত্র ১ পয়েন্ট পেলেই প্রথমবার এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার ছাড়পত্র আদায় করবে সবুজ-মেরুন। তবে ড্র নয়, জয়ের লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামছেন হাবাস। কারণ ম্যাচ জিতলে যেমন ইতিহাস তৈরি করা যাবে, তেমনই প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে বদলা নেওয়ার সুযোগও আছে। তাই সাংবাদিক সম্মেলনে বলছেন, ‘আমরা শুধু জয়ের কথা ভাবছি। ড্র করার কথা মাথায় আনছি না। সেটা নিয়ে ছেলেদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। কারণ ড্র করার মানসিকতা নিয়ে মাঠে নামলে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। তাই শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলব।’
গত জানুয়ারিতে এই মুম্বইয়ের কাছে ০-১ গোলে হেরেছিল তাঁর দল। সেই ম্যাচে ৬৯ মিনিটে গোল করে দলকে জয় এনে দেন ওগবেচে। সেই হারের ক্ষত এখনও দগদগে। যদিও এই ম্যাচে কার্ড সমস্যার জন্য খেলতে পারবেন না মুম্বইয়ের তারকা মিডফিল্ডার হুগো বুমোস। তবে লে ফন্দ্রে ও ওগবেচে আছেন। হাবাস বলছেন, ‘বিপক্ষকে অবশ্যই সম্মান জানাতে হবে। তবে সেটা করতে গিয়ে তো ম্যাচটা ওদের হাতে তুলে দিতে পারব না। গত ম্যাচে কী হয়েছে, সেটা নিয়ে ভেবে কোনও লাভ নেই। আমাদের পরিকল্পনা তৈরি আছে। সেটা রবিবার খেলা শুরু হলেই দেখতে পারবেন।’
এডু ফেরায় মাঝমাঠের শক্তি অনেক বাড়বে। সঙ্গে থাকবেন মার্সেলিনহো, ডেভিড উইলিয়ামস ও মনবীর সিংহ। যদিও এটিকে মোহনবাগানের ‘গোল মেশিন’ বলতে এক ও অদ্বিতীয় রয় কৃষ্ণা। ৩৩ বছরের ফিজি তারকা এখনও পর্যন্ত সব ম্যাচে পুরো সময় মাঠে ছিলেন। ১৪টি গোল করে চলতি মরসুমে ‘গোল্ডেন বুট’-এর অন্যতম দাবিদার এই স্ট্রাইকার। তাই হাবাস মজে রয়েছেন কৃষ্ণাতে। শেষে বলেন, ‘আমার মতে রয় অন্য ধাতু দিয়ে গড়া। লাগাতার ম্যাচ খেলে সবাই যখন ক্লান্ত, সব দলের একাধিক ফুটবলার যখন চোটের কবলে পড়ছে, তখনও রয় অনায়াসে খেলে যাচ্ছে। এর সবচেয়ে বড় কারণ হল মাঠের বাইরে ওর সংযমী জীবনযাপন। সেটাও ওকে ফুটবলার হিসেবে আরও উন্নত করেছে।’