Home খেলাধুলাফুটবল লাল-হলুদে ডামাডোল, আগামী মরসুমে ট্রান্সফার ব্যানের মুখে পড়তে পারে ইস্টবেঙ্গল

লাল-হলুদে ডামাডোল, আগামী মরসুমে ট্রান্সফার ব্যানের মুখে পড়তে পারে ইস্টবেঙ্গল

by Kolkata Today

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ চুক্তি সই নিয়ে বিনিয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে ক্লাবের টানাপোড়েনের মধ্যেই মাঠে ও মাঠের বাইরে বিপর্যস্ত ইস্টবেঙ্গল। আইএসএলে প্লে-অফ না-খেলতে পারার যন্ত্রণা-হতাশার মধ্যেই সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের কড়া শাস্তির মুখে এসসি ইস্টবেঙ্গল। গত মরসুমে চুক্তি অনুযায়ী অর্থ না পেয়ে প্রথমে আগের বিনিয়োগকারী সংস্থা কোয়েসকে নোটিস পাঠিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলের সাত ফুটবলার। কিন্তু তারা স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, যেহেতু ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। তাই ফুটবলারদের বকেয়া মেটানোর দায়িত্ব এখন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবেরই। বিনিয়োগকারী সংস্থার কোনও দায় নেই। এর পরেই ফেডারেশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ফুটবলারেরা। অভিযোগ জানান ভারতের ফুটবলারদের সংস্থার কাছেও।

ফেডারেশন কর্তারা সেই সময় স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, আগের বিনিয়োগকারীর সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের বিচ্ছেদের চুক্তিতে কী রয়েছে সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি লেখা থাকে আর্থিক কোনও দায় আর বিনিয়োগকারী সংস্থার নেই, তা হলে ইস্টবেঙ্গলকেই যাবতীয় বকেয়া মেটাতে হবে। জানা গিয়েছে, ক্রীড়াস্বত্ব ফেরত দেওয়ার সময় আগের বিনিয়োগকারী সংস্থা কোয়েস গ্রূপ শর্ত দিয়েছিল, বকেয়া মেটানোর দায়িত্ব নিতে হবে ইস্টবেঙ্গলকেই। এখানেই শেষ নয়। ক্লাব লাইসেন্সিং প্রক্রিয়াতেও ফেডারেশনকে মুচলেকা দিয়ে ইস্টবেঙ্গল জানিয়েছিল, গত মরশুমের বকেয়া তারাই মেটাবে। এর পরে ফুটবলারদের ক্লাব কর্তারা জানান, চুক্তি অনুযায়ী আগামী মরশুমেও তাঁদের রেখে দেওয়া হবে। কিন্তু চুক্তির অঙ্ক অর্ধেক করতে হবে। সেই প্রস্তাবে রাজি না হয়ে ফেডারেশনের শরণাপন্ন হন পিন্টু মাহাতো, রক্ষিত দাগারের মতো ফুটবলাররা। এরপরই এআইএফএফ (AIFF) সচিব কুশল দাসের চিঠি আসে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে।

লাল-হলুদের নতুন বিনিয়োগকারী সংস্থা শ্রী সিমেন্ট কর্তাদের দাবি, অভিষেক ও সামাদ আলি মল্লিকের সঙ্গে চুক্তি করে সমস্ত বকেয়াই তাঁরা মিটিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু জটিলতা অব্যাহত বাকি ফুটবলারদের নিয়ে। বুধবারই সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের তরফে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে চিঠি দিয়ে অবিলম্বে বকেয়া মেটাতে বলা হয়েছে। এই নির্দেশ অমান্য করলে নতুন ফুটবলার সই করানোর ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা (ট্রান্সফার ব্যান) জারি করা হবে। জানা গিয়েছে, বকেয়া অর্থের পরিমাণ কয়েক কোটি টাকা।

শ্রী সিমেন্টের তরফে স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়েছে, ইস্টবেঙ্গল কর্তারা চূড়ান্ত চুক্তিতে সই না করলে তারা বকেয়া মেটাবে না। চুক্তি সইয়ের জন্য একমাসের ডেডলাইন দেওয়া হয়েছে। ৩১ মার্চ ডেডলাইন শেষ। তার আগে চুক্তি সই না করলে সরে যাবে শ্রী সিমেন্ট। সেক্ষেত্রে আরও বড় আইনি জটিলতায় পড়বে শতবর্ষ পূর্ণ করা ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। শুধু তাই নয়, ভবিষ্যতে আইএসএল খেলাও কঠিন হবে। তবে যেটা জানা যাচ্ছে, শ্রী সিমেন্টের ম্যানেজিং ডিরেক্টর হরিমোহন বাঙ্গুর নিজে ইস্টবেঙ্গলের পুরনো কর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারেন। মার্চের প্রথম দিকে কলকাতায় আসতে পারেন বিনিয়োগকারী সংস্থার কর্ণধার। যদিও কলকাতায় সিমেন্টের এক কর্তা বললেন, ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে ক্লাবকর্তাদের। চুক্তি সইয়ের জন্য তাঁরা আর বেশি সময় দিতে রাজি নন।

Related Articles

Leave a Comment