কলকাতা, ১০ জানুয়ারি: অবশেষে রাজ্য বিজেপি দফতরে পা রাখলেন শোভন-বৈশাখী। অনেক মান-অভিমানের পালা শেষে এলেন রবিবার সন্ধ্যায়। এলেন হেস্টিংসে রাজ্য বিজেপির নির্বাচনী কার্যালয়ে। রবিবার সন্ধ্যায় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চান বলে আগেই জানিয়েছিলেন তাঁরা। কথা ছিল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা তথা রাজ্যের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র সঙ্গে বৈঠক হবে। তবে সেই বৈঠকের জন্য কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হয় শোভন, বৈশাখীকে। ৭টা ১৫ মিনিট নাগাদ আসেন কৈলাস। তার পরে শুরু হয় বৈঠক। রাত ৯টা নাগাদ বৈঠক শেষে চলে চা-চক্র।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবারের বৈঠকে ইতিবাচক ফল মিলেছে। সেটা বোঝা যায় শোভন-বৈশাখীর কথাতেও। রবিবার আরও একটি বিষয় নজর কাড়ে। সাম্প্রতিক সময়ে নিজেদের কথা বলতে সংবাদমাধ্যমের সামনে শুধু বৈশাখীই মুখ খুলেছেন। রবিবার দেখা গেল ক্যামেরার সামনে এগিয়ে এলেন শোভনও। বললেন, ‘এই জোনে ৫১টি বিধানসভা আসন রয়েছে। বৈঠকে সকলে নিজের নিজের মত প্রকাশ করেছেন। সকলে মিলে এক সঙ্গে কাজ করব।’ একই সুরে বৈশাখীও জানান, তিনি সবার সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে চান।
গত সোমবার শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে বাইক রয়যালি করার কথা ছিল কৈলাসের। কিন্তু শেষবেলায় অসুস্থতার কথা জানিয়ে আসেননি শোভন-বৈশাখী। মুকুল রায় ও অর্জুন সিংহকে নিয়ে নমো নমো করে মিছিল সারেন কৈলাস। এর পর থেকেই শোভন-বৈশাখীর পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। যদিও একদিন যেতে না যেতেই সংবাদমাধ্যমের সামনে দুঃখপ্রকাশ করেন বৈশাখী। তার পরে ঠিক হয়, দক্ষিণ কলকাতা সাংগঠনিক জেলা শোভন-বৈশাখীকে নিয়ে সোমবার একটি মিছিল করবে। সেই মিছিলের ঠিক আগের সন্ধ্যায় দলের দফতরে এসে রবিবার বিজেপিকে যেন অনেকটাই স্বস্তি দিলেন তাঁরা। এখন আশা করা হচ্ছে, সোমবারের মিছিলে আর অনুপস্থিত হবেন না বহু চর্চিত এই জুটি।
শোভনকে পর্যবেক্ষক করে কলকাতা জোনের যে কমিটি তৈরি হয়েছে তাতে বৈশাখীর মতো শঙ্কুদেবও রয়েছেন সহ-আহ্বায়ক হিসেবে। শোনা গিয়েছিল, একই পদে তিনি ও শঙ্কুদেব থাকা নিয়ে শুরুতে আপত্তি জানিয়েছিলেন বৈশাখী। কিন্তু রবিবার দেখা যায় সেই শঙ্কুদেব একাই দেড় বছর আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি তে যোগ দেওয়া এই জুটিকে স্বাগত জানান। নিয়ে যান আগরওয়াল হাউসের আট তলায়।